
ঢাকার আশুলিয়ায় একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার গোমাইল গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় দ্বিতীয় তলায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলো- সুর্য্য বেগম (৫০), তার ছেলে সোহেল (৩৮), সুমন রহমান (৩২), মেয়ে শিউলী আক্তার (৩২), সুমনের স্ত্রী শারমিন আক্তার (৩৫), শারমিনের ছেলে সোয়াইদ (৪), মেয়ে সুরাইয়া (৩ মাস), শিউলীর স্বামী মনির হোসেন (৪০), দুই ছেলে ছামির মাহমুদ ছাকিন (১৫), মাহাদী (৭) ও সুমনের ফুফু জহুরা বেগম (৭০)।
পরে রাত ১টার দিকে দগ্ধদের জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রতিবেশী মো. আবু ইসহাক জানান, দগ্ধরা সবাই একই পরিবারের। ওই বাসার দুইতলায় ভাড়া থাকতেন। ঘটনার সময় সে নিজে মসজিদে ছিল। খবর পেয়ে দ্রুত বাসায় এসে তাদেরকে দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার ধারনা সিলিন্ডার গ্যাসের চুলা আগে থেকেই চালু ছিল এবং দুই রুমে গ্যাস ছড়িয়ে ছিল। কেউ একজন রান্না করতে গিয়ে আগুন ধরাতেই চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পরে।
দগ্ধ সুমনের ফুফাতো ভাই মো. মাসুদ বলেন, সুমনদের বাড়ি শরিয়তপুর জেলায়। গোমাইল এলাকায় ভাড়া থাকে। বোন শিউলি থাকে নবাবগঞ্জ দিঘিরপাড় এলাকায়। ফুফু জোহরা বেগম থাকে মুন্সিগঞ্জে। সোহেলও থাকে গোমাইল এলাকায়। সুমন গ্রাফিক্সে কাজ করে। আর সোহেল গার্মেন্টস এক্সোসরিজের কোম্পানিতে কাজ করেন। আর মনির সেনেটারী ব্যবসা করেন।
তিনি আরো বলেন, শবে বরাত উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সবাই সুমনদের বাসায় যায়। রাতে রুটি পিঠা বানানোর জন্য চুলা জ্বালাতেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে প্রতিবেশীরা তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, আশুলিয়া থেকে ১১ জন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছে। এদের মধ্যে চারজন শিশু রয়েছে।
এদের মধ্যে সুর্য্য বেগমের ৭ শতাংশ, সোহেলের ১০ শতাংশ, সুমন রহমানের ৯৯ শতাংশ, শিউলী আক্তারের ৯৫ শতাংশ, শারমিন আক্তারের ৪২ শতাংশ, সোয়াইদের ২৭ শতাংশ, সুরাইয়ার ৯ শতাংশ, মনির হোসেনের ২০ শতাংশ, ছামির মাহমুদ ছাকিনের ১৪ শতাংশ, মাহাদীর ১০ শতাংশ ও জহুরা বেগমের ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।