প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৩০ পিএম (ভিজিট : ২১০)

মৎস্য সম্পদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় 'বিশেষ কম্বিং অপারেশ' পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আন্ত:বাহিনীর জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এটা তো জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, মৎস্য সম্পদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় বিশেষ কম্বিং অপারেশ পরিচালনায় গত ১২ জানুয়ারি থেকে নিয়োজিত রয়েছে। দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে উপকূলীয় জলাশয় ও নদী অববাহিকায় ১০ মিটারের কম গভীরতায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী সকল অবৈধ জাল অপসারণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে সরকারের জারি করা ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ ৪টি ধাপে আগমী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান থাকবে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ¥ীপুর, চাঁদপুর, খুলনা, মোংলা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলায় নৌবাহিনীর ১১টি জাহাজ ও উলেখযোগ্য সংখ্যক বোটের মাধ্যমে ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ইতোমধ্যে নৌবাহিনীর দায়িত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল, মশারী জাল, চটজাল ও টংজাল উদ্ধার করে ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি এ সকল অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে তৎসংলগ্ন এলাকাগুলোতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ কম্বিং অপারেশনের তৃতীয় ধাপ শুরু হয়। মঙ্গলবারও চট্টগ্রামের বহিঃনোঙ্গর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নৌবাহিনী জাহাজ ও বোটের মাধ্যমে ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ পরিচালনা করা হয়। এ সময়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল উদ্ধার এবং জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। এই অভিযানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিশেষ টিম, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। গতকাল সোমবার ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৬টি দোকান থেকে অবৈধ ৩০ লাখ ৬ শত ৫০ মিটার চড়ঘেরা জাল, ৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল, ৩ হাজার ৪ শত মিটার বেহুন্দি জাল ও ২১ লাখ ৬০ হাজার মিটার পাইজাল জব্দ করা হয়; যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি ৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এছাড়াও অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬ শত ৫০ মিটার জাল, ৯টি বেহুন্দি জাল ও অবৈধ মাছ উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ১ লাখ ৬৯ হাজার ৭ শত টাকা। তৃতীয় ধাপে গতকাল সোমবার পর্যন্ত প্রায় ২১ কোটি ৬২ লাখ ৬ হাজার ৭ শত টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয়। উক্ত অভিযানে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৭৬ কোটি ৩২ লাখ ৫ হাজার ১ শত টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয়।
অভিযানে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বৈধ মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করতে জেলেদের সচেতন হওয়ার আহবান জানানো হচ্ছে। অবৈধ উপায়ে মৎস্য আহরণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় আইএসপিআর।