প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:০৯ পিএম (ভিজিট : ১৩৮)
খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশি থাকায় গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে চাপে রয়েছেন। টানা ১০ মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপর রয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। বিবিএস তার প্রতিবেদনে বলছে, গত বছরের মার্চের পর খাদ্য মূল্যস্ফীতি আর এক অঙ্কের ঘরে নামেনি। সর্বশেষ গত মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিলো সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। প্রতিবেদনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দীর্ঘ সময় ধরে দুই অঙ্কের ওপর থাকার তথ্য উঠে আসে।
এদিকে তিন মাস পর সার্বিক মূল্যস্ফীতি এক অঙ্কের ঘরে নেমেছে। বিবিএসের সর্বশেষ হিসাবে, গত জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে। ডিসেম্বরে এই হার ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এর আগে গত সেপ্টেম্বরেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে ছিল।
মূল্যস্ফীতি একধরনের করের মতো। ধরুন, আপনার প্রতি মাসে আয়ের পুরোটাই সংসার চালাতে খরচ হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ যদি জিনিসপত্রের দাম বাড়ে এবং সেই অনুযায়ী আয় না বাড়ে, তবে আপনাকে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হবে। তা না হলে খাবার, কাপড়চোপড়, যাতায়াতসহ বিভিন্ন খাতে খরচ কাটছাঁট করতে হবে। মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধি বা আয় কম হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। প্রকৃত আয় কমে যায়।
জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশের মানে হলো- ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবা কিনতে যদি ১০০ টাকা খরচ হয়, গত জানুয়ারিতে সেই খরচ বেড়ে ১০৯ টাকা ৯৪ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রতি ১০০ টাকায় খরচ বেড়েছে ৯ টাকায় ৯৪ পয়সা।
গত ছয় মাসে চাল, আলু, পেঁয়াজ, মাছ-মাংস, ডিম ইত্যাদির দাম বেড়েছে। ২০২৪ সালে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ভুগেছে। গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষের সংসার চালানোই তাতে কঠিন হয়ে পড়েছে।