প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:১১ পিএম (ভিজিট : ১৯৬)
বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি করেছে ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতীয় প্রেস ক্লাব গিয়ে শেষ হয়। সংস্থাটির সভাপতি সৈয়দ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে র্যালি উদ্বোধন করেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন।
ক্যান্সার রোগ তত্ত্ববিদ ও ক্যান্সার প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি হলেও সচেতনতা ও প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণের মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ড. সৈয়দ হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের জীবনযাপনের ধরন, খাদ্যাভ্যাস ও পরিবেশগত কারণ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। ধূমপান, মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ও বায়ুদূষণ ক্যান্সারের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি পরিবারে একজন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞ গবেষকরা বলেন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো খুবই জরুরি, বিশেষত ৪০ বছরের পর নিয়মিত স্ক্রিনিং করানো উচিত মনে করেন। প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার ধরা পড়লে সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব। তাই সঠিকভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে পারলে দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। চিকিৎসকরা বলেন সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে পারলে এই রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
র্যালিতে চিকিৎসক, গবেষক, ক্যান্সার সচেতনতা কর্মী, স্কাউট দলের সদস্যরা, শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ অংশ নেন। র্যালিতে ক্যান্সার প্রতিরোধ, সচেতনতা ও প্রাথমিক চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরা হয় এবং ক্যান্সার রোধে করণীয় বিষয়াদি সম্পর্কিত লিফলেট পথচারীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এছাড়া পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণের মতো কার্যক্রমে এই সংগঠনটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তারা ঢাকাসহ সারা দেশব্যাপী ৭০ হাজার বৃক্ষরোপণ করেছেন, যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যের উন্নয়নেও সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। সার কীটনাশক ব্যবহার না করে কীভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করা যায় তা সচেতনতা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সংগঠনটি। ওষুধের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে এনে সুস্থ শরীরে কিভাবে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা যায়। এই লক্ষ উদ্দেশ্য সামনে রেখে সাধারণ মানুষের ভিতরে গণসচেতনতা করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন পর্যন্ত।