অভিযোগ থেকে ‘মুক্তির’ আর্জি জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালা খান। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো তদন্ত করে দেখতে পারে; কোনো আপত্তি থাকবে না।
মালা খান তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা বিআরআইসিএম কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, আমি এসব মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে চাই। আমি নিজের কর্মক্ষেত্রে ফিরতে চাই। আন্দোলন থামিয়ে তাদের যদি কোনো জিজ্ঞাসা থাকে, বসুক; সমস্ত পেপার তারা দেখুক। আর অভিযোগের যদি সত্যতা না পায়; তাহলে আন্দোলন থেকে বিরত থাকুক। কিন্তু বিচারের আগেই আপনারা শাস্তি দিয়ে ফেলছেন।
তিনি বলেন, আমাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না; অফিসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
মালা খানকে বিআরআইসিএম থেকে বরখাস্তের দাবিতে গত ১২ অগাস্ট থেকে আন্দোলন করে আসছেন প্রতিষ্ঠানটির একদল কর্মী। তারা দাবি আদায়ে কর্মবিরতির পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, মালা খানের পিএইচডি ‘ঠিক নেই’। তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত; আওয়ামী লীগ সরকার থেকে অবৈধ সুবিধা নেওয়া; পদোন্নতি আটকে রাখাসহ গুম-খুনেও জড়িত।
বিআরআইসিএমে ২০২০ সাল থেকে অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন মালা খান। আন্দোলনের মুখে ওই পদ থেকে গত ১৭ অগাস্ট তিনি পদত্যাগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মালা খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও একাধিকবার পিএইচডি, দুর্নীতি ও তার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও বিআরআইসিএম কর্তৃপক্ষ অভিযোগের সত্যতা পায়নি। অভিযোগগুলো আগেই নিষ্পত্তি হয়েছে, আবার কেন সাবেক সহকর্মীরা আমার নতুন সহকর্মীদের ব্যবহার করছে? আমি আমার এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন।
মালা খান বলেন, সম্প্রতি বিআরআইসিএমের মশিউর রহমান নামের এক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এর জেরে আন্দোলনকারীরা তার বিরুদ্ধে গুম-খুনের অভিযোগ এনে চিফ সায়েন্টিফিক পদ থেকে বরখাস্তের পাশাপাশি গ্রেফতারের দাবি তুলেছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি যারা একের পর এক অভিযোগ করে যাচ্ছে, তাদের মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। প্রত্যেকটা সেক্টর আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নানা মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলো ছবিসহ ছড়িয়ে পরার পর সামাজিকভাবে প্রতিবন্ধকতায় পড়ার অভিযোগও তোলেন মালা খান।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি দোকানে যাওয়ার পর একদল লোক আমাকে ঘিরে ধরে; তাদেরকে জবাব দিয়ে যেতে বলে। একটা মানুষের ক্যারিয়ার ও জীবন ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে তারা।