ই-পেপার মঙ্গলবার ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মঙ্গলবার ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ই-পেপার

মঙ্গলবার ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

একুশের বইমেলা বনাম সাংস্কৃতিক জাগরণ
প্রকাশ: সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:২৮ এএম  (ভিজিট : ১৪২)
অমর একুশে বইমেলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বাঙালি জাতির আবেগ-অনুভূতি। আত্মপরিচয়ের অহমিকাও যুক্ত এই মেলার সঙ্গে। ১৯৭২ সাল থেকে এর আবির্ভাব ও বিকাশ মুক্তধারার প্রাণপুরুষ প্রয়াত চিত্তরঞ্জন সাহার হাত ধরে। আশির দশক থেকে এই মেলা ক্রমশ খোলতাই হচ্ছে। পেয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ পরিসর পেরিয়ে ধীরে ধীরে বইমেলা সম্প্রসারিত হয়েছে টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বরমুখী রাস্তার দুই পাশেও। তারপর তো পৌঁছে গেল আরও বড় পরিসরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। যে উদ্যানের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অবিচ্ছেদ্য। ১৯৫২ সালের ভাষাশহিদ স্মরণে যে মেলার সূচনা, সেটির সঙ্গেই জড়িয়ে গেছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথার অনুষঙ্গ।

যে ভাষার দাবিতে এত আন্দোলন, সাগরসম রক্তক্ষয়- সেই ভাষায় লেখা বই বিকিকিনির সবচেয়ে বড় বাজার হয়ে উঠছে অমর একুশে বইমেলা। এই ‘বাজার’ সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমাদের মননপরিসর, সংস্কৃতিচর্চাও কি বাড়ছে? আদতে আমরা কতটুকু ‘পাঠক’ হয়ে উঠছি। কতটুকু পরিশীলিত করতে পারছি নিজেদের। নতুন করে পাঠক সৃষ্টি হচ্ছে কি। বইমেলার হাত ধরে একুশের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কতটুকু শানিত হয়ে উঠছি? সংস্কৃতি কি দাঁড়াতে পারছে শক্ত ভিতের ওপর? এখানটায় এসে কিঞ্চিত থমকে যেতে হয়। আমাদের বাজার বসেছে, বার্ষিক ‘হাট’ পেয়েছি- সেই হাট-বাজারের পণ্যসামগ্রী কি যথাযথ পুষ্টিসমৃদ্ধ, স্বাস্থ্যকর নাকি চোখধাঁধানো ‘চকচকে সোনা’! আমাদের মন ও মননের পুষ্টির জোগান যথাযথভাবে দিতে পারছে কি ‘এক মাস উপলক্ষে’ প্রকাশিত বইগুলো? বই কেনা ও পড়ার মাঝেও রয়েছে যোজন যোজন দূরত্ব। তবে এটিও সত্য, বই না পড়লেও কেনাটা জরুরি। এতে লেখক বাঁচে, প্রকাশক টিকে থাকার রসদ পায়।

‘জাতির মননের প্রতীক’ স্লোগান যে বাংলা একাডেমির, সে প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা মেধার বিকাশ ও মননচর্চায় কতটুকু ভূমিকা রাখতে সমর্থ হচ্ছে- এখন এমন প্রশ্নও সামনে হাজির হচ্ছে বারবার। বোধকরি এটি বিব্রতকর কিংবা অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নয়। প্রতি বছর অমর একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয় বিপুল কর্মযজ্ঞ। নতুন-পুরোনো সব শ্রেণির প্রকাশকের জন্য বাংলা একাডেমির রয়েছে নির্ধারিত নীতিমালা। স্টল বরাদ্দ, স্টলপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে এই নীতিমালার আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আদতে কি তাই? এই নীতিমালা কতটুকু শেষপর্যন্ত পালন করা হয়! নাকি আগের বছরের ‘আমলনামা’র আলোকেই সবকিছু হয়ে যায়! বর্তমানে প্রকাশকদের স্টল নেওয়ার জন্য আবেদন করতে হয় অনলাইনে। সেখানে পূর্ববর্তী বছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত স্টল ইউনিটের সংখ্যা উল্লেখ করতে হয়। নীতিমালার ‘অন্যতম’ অংশ এটিও। আবার প্রতি বছর প্রকাশিত নির্দিষ্টসংখ্যক বইও লাগে। বজ্রকঠিন নীতিমালার বিপরীতে প্রকাশিত বই নেই, শর্ত পূরণের ধারে-কাছেও নেই এমন ব্যক্তিরাও তদবির/লবিংয়ের জোরে স্টল বরাদ্দ পেয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে নীতিমালা হয়ে যায় ‘কেতাবি হিসাব’।

বছরে ২৫টি নতুন বই প্রকাশের হিসাব দেখাতে হবেÑএটি কতটুকু সঠিক ও সুবিবেচনাপ্রসূত! মন্দের ভালো বলা যেত, যদি সেটি যথাযথভাবে মানা হতো। একশ্রেণির প্রকাশক যেনতেনভাবে ২৫টি সংখ্যা মিলিয়ে দেন। সংখ্যার হিসাবে সিকি শতক পুস্তক/পুস্তিকার সমাবেশ ঘটিয়ে দেওয়া হয়তো কঠিন কোনো বিষয় নয়। কিন্তু যে প্রকাশক নিজে বিনিয়োগ করে, সত্যিকারের বই প্রকাশ করেন তার পক্ষে গুনে গুনে ২৫টি বই কীভাবে প্রকাশ করা সম্ভব! অবশ্য পুরো প্রক্রিয়াটাই হচ্ছে শুভঙ্করের ফাঁকির মতো। আইন তথা নীতিমালা হচ্ছে এমন জিনিস- চাইলে এর মাধ্যমে অপছন্দের কাউকে সহজে আটকে দেওয়া যাবে। সেটি পরিবর্তন নতুন পরিস্থিতিতে এই ২০২৫ সালেও লক্ষ করা গেছে। পুরোনো ইতিহাসের সূত্র ধরেই বলা যায়- স্টল বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিপরীত চিত্রটা লক্ষ করার মতো। নিয়মিত বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রকাশকদের যেহেতু এখন আর বই জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই, বছরভর নতুন কোনো বই প্রকাশ না করেও তারা সহজেই বৈতরণী পাড়ি দিতে পারেন। তাই তো দেখা যায়, কেউ ১০০টি নতুন বই প্রকাশ করেও স্টল ইউনিট ২ থেকে ৩টির আবেদন করেও পাচ্ছেন না, আবার কেউ কেউ বই প্রকাশ না করেও তিন/চারটি ইউনিট স্টল আঁকড়ে ধরে আছেন! এর অবনমন ঘটানোর ন্যূনতম সম্ভাবনা কিংবা আশঙ্কাও নেই। এসব হচ্ছে নীতিমালার ভেতরকার অসারতা, সিস্টেমের ভূত।

বাংলা একাডেমি ও বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি একসময় যৌথভাবেই এসব বিষয় দেখভাল করত। আদালত কর্তৃক জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির কার্যক্রম পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সামনে এসেছে দীর্ঘদিন এক ধরনের আড়ালে থাকা বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক সমিতি (বাপুস)। বাপুস যথাযথ তদারকি করতে পারছে কি না, সঠিক নেতৃত্ব দিচ্ছে কি না- পুরো বিষয়টাই সংশয়াচ্ছন্ন। সরাসরি প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত নন, এমন কারও পক্ষে এই সমিতির বর্তমান কার্যপরিধি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল থাকা একপ্রকার কঠিনই। বর্তমানে অনিবন্ধিত বেশ কয়েকটি প্রকাশক সমিতি আত্মপ্রকাশ করেছে। সমিতিগুলো কতটুকু কী করতে সক্ষম হবে, সেটি ভবিষ্যৎই বলে দেবে।

বইমেলার পরিবেশের সঙ্গে এর স্টলবিন্যাস, প্যাভিলিয়ন সজ্জা, লিটল ম্যাগাজিন চত্বর, কফি, খাদ্যসামগ্রীর দোকান, স্পন্সরকারী প্রতিষ্ঠানের তৎপরতা সবকিছুই জড়িত। পর্যাপ্ত পরিসর নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্যাভিলিয়নগুলো মেলাজুড়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব বরাবর স্থাপন করা জরুরি। কয়েক বছর ধরে প্যাভিলিয়নের নামে শুরু হয়েছে ‘ভিআইপি’ কালচার। সংশ্লিষ্ট প্রকাশক, লেখক বা ক্রেতা-পাঠক সবাই যেন সম্ভ্রান্ত শ্রেণির! একশ্রেণির পাঠ্যবই নোট, গাইড ও বিসিএস গাইডের প্রকাশকও ‘প্যাভিলিয়ন কোটা’য় স্টল নিয়ে থাকেন।

মেলাজুড়েই সম্পাদনাহীন বইয়ের ছড়াছড়ি। একশ্রেণির লেখক যাচ্ছেতাই লিখছেন আবার আরেক শ্রেণির প্রকাশক নামের মুদ্রক সেসব দেদার ছেপে দিচ্ছেন। প্যাভিলিয়নের জৌলুস বেশি, জাঁকজমক ও জমকালো আয়োজন প্রায়ই নজর কাড়ে। কিন্তু প্যাভিলিয়ন দেওয়া প্রকাশকদেরও সব বই কি পাতে তোলা যায়? অন্যদের মতো তাদেরও অধিকাংশেরই নেই কোনো সম্পাদনা পর্ষদ। প্রতি বছর প্রকাশকদের সম্পাদনা পর্ষদ না থাকার বিষয়ে আক্ষেপ ঝরে পড়ে কোনো কোনো বুদ্ধিজীবীর, কিন্তু প্রতিকার নেই। আক্ষেপে ভ্রƒক্ষেপ করেন না কেউই! পাঠক বঞ্চিত হচ্ছে, ভুল ধারণা যাচ্ছে পাঠকের কাছে। প্রকৃত লেখক ও গ্রন্থানুরাগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এমন চাতুর্যপূর্ণ পরিস্থিতিতে আয়োজকদের ভূমিকা কী হতে পারে, আয়োজক প্রতিষ্ঠান কি পারবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে? কিংবা এটি তাদের এখতিয়ারের মধ্যে ফেলা যাবে! এখন যেমন লেখকদের সঙ্গে চুক্তিপত্রের নমুনা কপি জমা দিতে বাধ্য করছে, আগামীতে কি সম্পাদনার বিষয়টিও নিশ্চিত হতে চাইতে পারে?

এসব দরকারি বিষয় খোঁচানোর আগে এটি নিশ্চিত করতে হবে- বছর বছর প্রকাশক বেড়ে চলেছে কেন? প্রকাশনা লাভজনক ব্যবসা নয়, মানুষ বই কেনে না, কিনলেও পড়ে না- এমন মর্সিয়ার মধ্যে প্রকাশকের সংখ্যা প্রতি বছর বেড়ে চলা কি অস্বাভাবিক নয়! প্রকাশকরা যতই আহাজারি করেন, তাদের কারও কারও বিলাসী জীবন ঠিকই নজর কাড়ে। যিনি কর্মচারীর বেতন দিতে পারেন না বলে হাপিত্যেস করেন, সেই তিনিও ঠিকই গাড়ি হাঁকিয়ে চলেন।

পেশাদার প্রকাশকের পাশাপাশি একশ্রেণির শৌখিন প্রকাশকের আবির্ভাব বরাবরই ছিল। সুরুচি কিংবা নিছক শখ থেকে কেউ কেউ প্রকাশনায় আসেন। শখ মিটে গেলে নীরবে প্রস্থানও ঘটে। সেই পশ্চাৎপসরণের ইতিহাস অবশ্য কোথাও লেখা থাকে না। অল্প কয়েকজন প্রকাশকের নীরবে চলে যাওয়া প্রত্যক্ষ করেছি আমরা।

বইমেলা প্রকাশকদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার দাবি প্রকাশকরা জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। অন্যদিকে বাংলা একাডেমিও এটি হাতছাড়া করতে নারাজ। একুশের চেতনার সঙ্গে যে বইমেলার আবির্ভাব ও বিকাশ- রাষ্ট্রীয়ভাবে সেটির কাঠামো ধরে রাখার চিন্তা হয়তো স্বাভাবিক। পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মাতৃভাষার দাবি, স্বাধিকার, ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা। সে হিসেবে বইমেলাকে কুক্ষিগত করে রাখার দাবিটি হয়তো সঙ্গত। কিন্তু মাঝখানে নানাবিধ কেচ্ছা-কাণ্ডগুলো কি প্রত্যাশিত! বিশেষ করে ২০২৪ সালের বইমেলায় যে তুঘলকি খেল দেখা গেল, এটি ভবিষ্যতের জন্য বড় ‘ইতিহাস’ হয়ে থাকবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলা একাডেমি বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও বাংলা একাডেমি পুরোপুরি স্বাধীন নয়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ও কয়েক বছর ধরে চাচ্ছে নগ্নভাবে বাংলা একাডেমির বিভিন্ন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করতে। এটি নিয়ে একটা চাপা ক্ষোভ, অসন্তোষ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। কিন্তু ২০২৪ সালের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বনাম পূর্ত মন্ত্রণালয়ের যে নীরব লড়াইÑতা কি কম লজ্জার!

পূর্ত মন্ত্রণালয় বইমেলা আয়োজনের স্থান হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ব্যবহার করতে দেবে না। সমাধান হিসেবে বলা হলো বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণসহ বাইরের রাস্তায় মেলার আয়োজন করতে। এতে না পোষালে চলে যেতে হবে পূর্বাচলে, উত্তরা পেরিয়ে নরসিংদীর কাছাকাছি! বাণিজ্য মেলা ও বইমেলাকে কি তবে নিয়ে আসা হবে একই সমান্তরালে?

বইমেলার নেপথ্য ইতিহাস না জানলে কিংবা ভুলে গেলেই কেবল এমন হাস্যকর প্রস্তাব দিতে পারেন কেউ। কোনো প্রস্তাবই বাস্তবসম্মত নয়। দুটি সিদ্ধান্তের যেকোনো একটি বাস্তবায়ন করা মানে বইমেলাকে গলা টিপে হত্যা করা। কাজের পরিমাণ যখন কমে যায়, শূন্যস্থান পূরণ করতে বেড়ে যায় অকাজের সংখ্যা। পূর্ত মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দ্বন্দ্ব সৃষ্টির মূলে কী আছে ওয়াকিবহাল নই। ২০২৫ সালে বইমেলার প্রস্তুতিও সেই পূর্বেকার ভূত নতুন করে চাউর হয়েছিল। বইমেলা হবে কি না, হলে সেটি কোথায় হবে লেখক ও প্রকাশকদের যেতে হয়েছে এমন অস্বস্তিকর-রুদ্ধ পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে।

অমর একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে নীরব একটি সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটেছে। সৃষ্টি হয়েছে সাংস্কৃতিক বলয়। সেটি এখন পিছু হটছে কি না এমন প্রশ্নও উত্থাপন করা যায়। কথা হচ্ছে, এই ‘জাগরণ’ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট থাকব, নাকি এগিয়ে যেতে হবে আরও সামনে, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে?


সময়ের আলো/এএ/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close