প্রকাশ: শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:৪২ এএম (ভিজিট : ২৮৪)
তখনও বাংলা গদ্যে ইসলামচর্চা শুরু হয়নি, প্রকাশিত হয়নি কুরআন শরিফের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ। খ্রিস্টধর্ম প্রচারে নিয়োজিত খ্রিস্টান মিশনারির উদ্যোগে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী বিকৃতরূপে প্রকাশ করে ইসলাম সম্পর্কে অপপ্রচার করা হচ্ছে। সেই সময় হিন্দুসমাজ থেকে কয়েকজন পণ্ডিত ব্রাহ্মসমাজের আদর্শে দীক্ষিত হয়ে আধুনিক বাংলা গদ্যে নবী জীবনী ও ইসলাম সম্পর্কিত রচনায় হাত দিলেন।
গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হলো বাংলা ভাষায় কুরআনের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ, মহানবীসহ গুরুত্বপূর্ণ চার নবী ও খলিফাদের প্রথম জীবনী, হাদিসগ্রন্থের অনুবাদ। এসব গ্রন্থ রচনার পেছনে ব্রাহ্মসমাজের ভূমিকা কেমন ছিল, নন-মুসলিম হয়েও তাঁদের ইসলাম ধর্মচর্চার উদ্দেশ্যই বা কী ছিল, তা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে গ্রন্থে ইসলাম ও হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গি ও মুসলমান প্রজাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের চিত্রটা উঠে এসেছে সবিস্তারে।
গ্রন্থে সাম্প্রতিক সময়ে চর্চিত বেশ কিছু বিতর্কের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। সমাজ বদলে সাহিত্যের ভূমিকা কী হতে পারে, লেখক কোন মানুষের জন্য লিখবেন, কার কথা লিখবেন, শিল্পের নন্দনতত্ত্বের সঙ্গে লেখকের সামাজিক অ্যাক্টিভিজমের কোনো দ্বন্দ্ব আছে কি না প্রভৃতি প্রসঙ্গ উঠে এসেছে অপরাপর প্রবন্ধে। বাংলা সাহিত্যের আন্তর্জাতিকীকরণে প্রতিবন্ধকতা ও সাহিত্যের রাজনীতি নিয়েও আলোচনা করেছেন লেখক। বইটি পাঠকদের অনেক বিষয় নতুন করে ভাবতে সাহায্য করবে।
সময়ের আলো/আরএস/