প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:৩২ পিএম (ভিজিট : ১২২)
সাভারের গেন্ডা এলাকায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী মারুফ খানকে খুনের দায়ে ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাজিয়া নাহিদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিতরা হলেন- মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, শিমুল হাওলাদার ওরফে শ্যামল, শামীম আলী, ইমরান হোসেন, ফয়সাল আহম্মেদ মোত্তাকিন এবং লিটন ওরফে রইচ। রায় ঘোষণার পর আদালত আসামিদের উদ্দেশে বলেছেন, আপিলের সুযোগ আছে। আপিল করবেন। আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
আসামিরা জামিন ছিলেন। তবে এদিন ফয়সাল আহমেদ মোত্তাকিন আদালতে হাজির হননি। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। অপর ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় পুলিশ সদস্যদের মধ্যে অস্থিরতা, উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়। তখন বিচারক বলেন, এমন কিছু করবেন না যেন ওরা ভয় পায়। পরে তাদের আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মারুফ খানের বাবা আতাউর রহমান খান বলেছেন, ন্যায়বিচার পেয়েছি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা মারুফ খানের বান্ধবী মুনাকে উত্যক্ত করত। ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তারা মুনাকে ইভটিজিং করে। মারুফ এর প্রতিবাদ করে। পরে সে মুনাকে রিকশায় করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সন্ধ্যায় গেন্ডায় আব্দুর রহমানের মোটরসাইকেলের গ্যারেজের কাছে মারুফের ওপর হামলা চালায় আসামিরা। মঞ্জু তাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে মারাত্মক আহত হয় মারুফ। তাকে চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে রেফার করা হয়। সেখানে নেওয়ার পথে মারা যায় মারুফ। এ ঘটনায় মারুফের ভাই লুৎফর রহমান খান মানিক ২২ আগস্ট সাভার মডেল থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এসআই মিজানুর রহমান ২০১৯ সালের ৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৩ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত অভিযোগপত্রভুক্ত ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
সময়ের আলো/জেডআই