প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:২৯ পিএম (ভিজিট : ২৫৮)
বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য জানতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) অভিযান পরিচলনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) কর্মকর্তা মো. আকতারূল ইসলাম বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নগর ভবনে এ অভিযান পরিচালনা করে দুদকের একটি টিম। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয় হতে একটি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। দেখা যায়, উক্ত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ বর্তমানে আনসারদের বেডরুম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।
এছাড়াও, ‘সাপ্লাই অব জেনসুলিন অ্যাপ থার্মপ্লাস্টিক পেইন্ট’ প্রকল্প, ‘সাপ্লাই অব পোর্টেবল এয়ার কমপ্রেশার-২ নস’ এবং ‘সাপ্লাই অব ব্র্যান্ড নিউ বিটুমিন প্রেসুর ডিস্ট্রিবিউটর’ প্রকল্পের শর্ত পূরণ না করেই বিল উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযানকালে টিম প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পায়। শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল এবং সারুলিয়ার সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এবং ‘ইমপ্রুভমেন্ট অব ইনার সার্কুলার রিং রোড ফ্রম রায়েরবাজার সুইচ গেট টু লোহার ব্রিজ’ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রকল্পসমূহের রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে এনফোর্সমেন্ট টিম। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পের অধীনে ৩৮ কোটি টাকা খরচ করে ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে স্বয়ংক্রিয় স্মার্ট ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো হয়। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে যার মনিটরিং করার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাফিক সিগন্যালগুলো অকেজো হয়ে আছে।