ই-পেপার বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

কানকথা থেকে গুজব, সতর্ক ও সচেতন হতে হবে
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:৪৫ এএম  (ভিজিট : ৭২)
ইতিহাসজুড়ে গুজবকে রাজনৈতিক বিপ্লবের প্রচার, ব্যক্তিস্বার্থ, ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলে কারসাজি ও নিয়ন্ত্রণ এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের জন্য সাম্প্রদায়িক উসকানির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের উদাহরণ রয়েছে। প্রথম বিশ্বে যুদ্ধের সময় ‘কর্পস ফ্যাক্টরি’ গুজব ছড়িয়ে দাবি করা হয়েছিল যে জার্মানরা তাদের নিজস্ব সৈন্যদের মৃতদেহ ব্যবহার করে পণ্য তৈরি করছে, এটি যুদ্ধকালে প্রপাগান্ডা হিসেবে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছিল। আরব বসন্তের সময় তিউনিসিয়ায় ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গুজবের দ্রুত বিস্তার ঘটতে দেখা যায়। অতিসম্প্রতি বাংলাদেশসহ পাশর্^বর্তী একটি দেশে জনগণের ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে ফেসবুকে গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দাকে পুঁজি করে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়লে অনেক গ্রাহক আতঙ্কিত হয়ে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে জমানো টাকা তুলে ফেলেন। পরে এই তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে গ্রাহকরা তাদের ভুল বুঝতে পারেন।

বুধবার সময়ের আলো থেকে জানা যায়, বিশ্বায়নের এ যুগে গুজবের উৎস এবং রং ছড়ানোর ধরনও বদলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে অপতথ্য। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ডিপফেক ভিডিও, যা খালি চোখে দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই যে, ঘটনাটি মিথ্যা বা গুজব।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, দীর্ঘসময় বাংলাদেশের মানুষ বাকস্বাধীনতা পায়নি এবং গণমাধ্যমগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি। তখন সাধারণ মানুষ নিয়মিত গণমাধ্যমের ওপর আস্থা হারিয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে তথ্যের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর মানুষের নির্ভরতা বেড়েছে। সে কারণেই মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা দেখছে, সেটিকেই বিশ্বাস করতে চাইছে। 

ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার, সমাজ এমনকি জাতীয় স্তরেও বিপর্যয় সৃষ্টি করে। তাই গুজবের নেতিবাচক প্রভাব থেকে ব্যক্তি, সমাজ ও দেশকে রক্ষা করতে গুজব সম্পর্কে সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের ডিজিটাল যুগে গুজব আগের চেয়ে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। অনেক সময় গুজব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে এবং তা অনিচ্ছাকৃত পরিণতির দিকে নিয়ে গিয়ে শত্রুতা উসকে দিতে পারে, দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে কিছু ক্ষেত্রে সহিংসতাকে উসকে দিতে পারে। সর্বোপরি মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ফলে আইনি পরিণতি বরণ করতে হতে পারে। কেননা, সাইবার স্পেসে মিথ্যা তথ্য বা গুজব প্রতিরোধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধান রয়েছে।

আমরা মনে করি, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য মিডিয়া ও সরকারকে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। কোনো তথ্য নিয়ে সন্দেহ হলে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, গ্রুপ পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে। ঘরে বসে নিজে নিজেও প্রযুক্তির সহায়তায় তথ্য যাচাই করা যায়। একটি তথ্য নিয়ে বেশিরভাগ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত না হলে তা বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে।




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close