প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:২৬ এএম (ভিজিট : ৯৬)
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে হারাতে পারলেই স্প্যানিশ সুপার কাপে কাতালানদের সমান ১৪তমবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরার সুযোগ পেত রিয়াল মাদ্রিদ। সেই লক্ষ্যে মরুর বুকে লস বাঙ্কোসদের শুরুটাও হয়েছিল প্রত্যাশিত। রেফারি বাঁশি বাজানোর মিনিট পাঁচেক পর বার্সার জালে গোল দিয়ে বসলেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে। ম্যাচের ভাগ্য লেখা বাকি থাকতেই রিয়ালে ডাগআউটে ঝলমলে মুখে উজ্জ্বল কোচ আনচেলেত্তি। সেই হাসিমাখা মুখ খানিক বাদে আর উজ্জ্বল থাকেনি। ১০ জনের দলে পরিণত হয়েও খাবি খায়নি কাতালানরা। উল্টো লামিন ইয়ামাল-লেভানদোভস্কি ও রফিনহার ভয়াল আক্রমণে কপাল পুড়েছে রিয়ালের। বিরতির আগেই চার গোল হজম করে হারের শঙ্কায় পড়ে। শেষতক সেটিই হয়েছে। স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালটা ৫-২ গোলে জিতে নিয়েছে বার্সেলোনা।
জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে উত্তেজনার ‘এল ক্লাসিকো’তে শুরুর ৫ মিনিটেই গোল হজম করে কাতালানরা। মাঝ মাঠে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের কাছ থেকে পাওয়া বলে ঝড়ের বেগে বার্সার জাল কাঁপান এমবাপে। ১৯ মিনিটের মাথায় লামিন ইয়ামালের গোলে সমতা ফেরায় বার্সা। এরপর স্কোরশিটে নাম লেখান রবার্ট লেভানদোভস্কি, রাফিনহা ও আলেহান্দ্রো বালদে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রাফিনহা পান নিজের দ্বিতীয় ও বার্সার পঞ্চম গোলের দেখা। ৫৬ মিনিটে ঘটে নাটকীয় এক ঘটনা। স্লাইডিং ট্যাকেল করে লাল কার্ড দেখেন পোলিশ গোলরক্ষক ভোইচেখ সেজনি। তবুও কাতালানদের আধিপত্য থামেনি। অন্যদিকে আক্রমণ ঠেকানোর বিপরীতে দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল কেবল একটি গোল শোধ করে। তাতে তিন মাসের ব্যবধানে রিয়ালকে দুবার হারাল বার্সা। সেই সঙ্গে মৌসুমের প্রথম শিরোপাটাও ঘরে তুলেছে।
শক্তিশালী দল নিয়েও বার্সাকে তেমন শক্ত কোনো পরীক্ষা দিতে না পারায় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে হতাশ রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলেত্তি, ‘এই ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক দিক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সত্যি বলতে সেজনির লাল কার্ডের পর আমি ভেবেছি আমরা ফিরে আসব। তবে তখনও আমরা সুযোগ তৈরি করতে পারিনি। পুরো ম্যাচ নিয়েই আমি হতাশ।’ অন্যদিকে পিছিয়ে পড়েও দলের বুক চিতিয়ে লড়াই করাটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বার্সেলোনা কোচ। ম্যাচ শেষে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন শিষ্যদের। হ্যান্সি ফ্লিক বলেছেন, ‘আমি আমাদের দল, ক্লাব, সমর্থক সবাইকে নিয়ে গর্বিত। এটা দারুণ একটা ম্যাচ ছিল। প্রথমে আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম, তবে তাতে দমে না গিয়ে যেভাবে লড়াই করেছে পুরো দল সেটা বেশ ভালো লেগেছে আমার।’
সময়ের আলো/জেডআই