প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:৩০ এএম (ভিজিট : ১৮৪)
গাজীপুরে সাফারি পার্কে নীলগাই পরিবারে নতুন অতিথি জন্ম নিয়েছে। এ নিয়ে পার্কে নীলগাইয়ের সংখ্যা এখন ১১টি। কয়েক দিন আগে পার্কের বন্য পরিবেশে এ শাবকের জন্ম হয়। এ নিয়ে পার্কে সপ্তমবারের মতো নীলগাই শাবকের জন্ম হলো। তবে এখনও শাবকটি পুরুষ না মাদি তা শনাক্ত করা যায়নি।
এ বিষয়ে সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এর আগে সাফারি পার্কে নীলগাই বেশ কয়েকবার বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। নতুন শাবক নিয়ে এখন এই দলের সদস্য সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ১১টিতে। সদ্য জন্ম নেওয়া শাবকটি সুস্থ রয়েছে। মায়ের সঙ্গে নিরাপদ স্থানে নিরিবিলি পরিবেশে ঘোরাঘুরি করছে। সামনে আরও বাচ্চা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, নতুন শাবক নিয়ে পার্কে নীলগাইয়ের সংখ্যা এখন ১১টি। ২০১৯ সালে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জব্দ হওয়া চারটি নীলগাই উদ্ধার করে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আনা হয়। সেখান থেকেই বাড়ছে নতুন অতিথির সংখ্যা।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের তথ্য মতে, এশিয়ার অ্যান্টিলোপজাতীয় প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বৃহদাকৃতির প্রাণী নীলগাই। দেখতে গরু, হরিণ কিংবা ঘোড়ার মতো বলে অনেকে হরিণ ও ঘোড়া মনে করে ভুল করেন। নীলগাই বিরল প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় একটি বন্যপ্রাণী। গাই হিসেবে পরিচিত হলেও নীলগাই কিন্তু গরু না। বরং এটি এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ হরিণবিশেষ।
প্রায় শত বছর আগে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যেত নীলগাই। তারপর ১৯৪০ সালের দিকে পঞ্চগড়ে সবশেষ প্রাকৃতিক পরিবেশে নীলগাইয়ের দেখা মিলেছিল। পরে দীর্ঘ ৭৮ বছর পর ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর একটি স্ত্রী নীলগাই ধরা পড়ে। ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি নওগাঁর মান্দায় ধরা পড়ে একটি পুরুষ নীলগাই। ওই বছরেই ১ এপ্রিল পত্নীতলায় ধরা পড়ে আরেকটি নীলগাই। ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থেকে উদ্ধার করা হয় আরও একটি নীলগাই। ধারণা করা হয়, ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলছুট হয়ে খাবারের সন্ধানে বাংলাদেশে ঢুকেছে এসব নীলগাই।
সময়ের আলো/জেডআই