ই-পেপার মঙ্গলবার ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মঙ্গলবার ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ই-পেপার

মঙ্গলবার ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বই উৎসব হচ্ছে না এবার
প্রকাশ: সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:২৪ পিএম আপডেট: ৩১.১২.২০২৪ ৫:১৯ এএম  (ভিজিট : ৩৪১)
নতুন বছরের প্রথমদিনে শিক্ষার্থীরা ‌‌‘বই উৎসব’ উদযাপনের মধ্য দিয়ে নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে। তবে এবার হচ্ছে না কোন ‘বই উৎসব’। বই বিতরণ কার্যক্রমও উদ্বোধন করা হবে না। শুধু পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন উদ্বোধন করবে সরকার। আগামী ১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

এ ব্যাপারে নিয়ে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়াতে ঘটা করে বই উৎসব করতে চায় না অন্তর্বর্তী সরকার। অনলাইনে এ কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর সব স্কুলে সুষ্ঠুভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।

জানা গেছে, আনুষ্ঠানিকতা না থাকায় নিজ নিজ স্কুলে প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে। আলাদা করে কোনো অনুষ্ঠান করা হবে না।

বিগত সরকারের আমলে বছরের প্রথম দিনে ঘটা করে বই উৎসব করা হতো। তৎকালীন সরকার প্রধান জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করতেন। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় পৃথক দুটি স্কুলে বড় অনুষ্ঠান করতো।

তাছাড়া বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, উপজেলা, পৌরসভা পর্যায়ে ঘটা করে বই বিতরণে অনুষ্ঠান করা হতো। বই উৎসব ঘিরে বড় অঙ্কের অর্থ বাজেট করতো সরকার। বই উৎসবের মাধ্যমে বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেয়ার রেওয়াজ শুরু হয় ২০১০ সালে। তবে বিগত দু-তিন বছর শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ১ জানুয়ারি উৎসব করে বই বিতরণ শুরু হলেও কিছু ক্ষেত্রে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব নতুন বই দেয়া যায়নি। আসন্ন শিক্ষাবর্ষে উৎসব করে বই দেওয়া হবে না।

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪০ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪১টি পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ চলমান। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের সংখ্যা ৯ কোটি ৬৪ লাখের মতো। তার মধ্যে শনিবার পর্যন্ত ছাপা হয়েছে ৪ কোটি ৩৫ লাখের বেশি। ইতোমধ্যে ৩ কোটি ৪৭ লাখের মতো বইয়ের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মাধ্যমিকে (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) মোট বইয়ের সংখ্যা ৩০ কোটি ৯৬ লাখের মতো। এর মধ্যে শনিবার পর্যন্ত ১ কোটি ৩২ লাখের মতো বইয়ের ছাড়পত্র হয়েছে। এর ফলে এবার নতুন বছরের প্রথম দিনে সারা দেশে সব শিক্ষার্থী সব বই পাবে না। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে অন্ততপক্ষে তিনটি করে নতুন বই (বাংলা, ইংরেজি ও গণিত) দিয়ে শিক্ষাবর্ষ শুরু করার পরিকল্পনা করছে  সরকার। কিন্তু বই ছাপার যে পরিস্থিতি, তাতে সেই পরিকল্পনাও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

তবে এনসিটিবির চেয়ারম্যান জানান, ছাপা বইয়ের সংখ্যা আরও বেশি। দুই দিনে আরও বিপুলসংখ্যক বইয়ের ছাড়পত্র হয়ে যাবে।

এ প্রসঙ্গে এ ব্যাপারে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান সময়ের আলোকে বলেন, আমরা আশা করছি জানুয়ারি এক তারিখে প্রাথমিকের সবসহ অন্য  শ্রেণীর বাংলা এবং ইংরেজি বই পৌঁছে দিতে পারবো। তবে ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব  শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাবে এটা নিশ্চিত করতে বলতে পারি।

সময়ের আলো/আরআই 




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close