ই-পেপার শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
ই-পেপার

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫

আওয়ামী মুক্ত দুদকে গতি
প্রকাশ: রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:২৯ এএম  (ভিজিট : ৩৩২)

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আজ্ঞাবহ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছিল ভঙ্গুর। গত সাড়ে ১৫ বছর বরাবরই শিথিল ছিল রাষ্ট্রীয় সংবিধিবদ্ধ এ সংস্থার কার্যক্রম। মন্ত্রী-এমপি ও দলের সিনিয়র নেতারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও সেখানে নীরব ভূমিকা পালন করে দুদক। এমনকি আওয়ামী ভাবাপন্ন আমলা ও বড় শিল্পপতিদের দুর্নীতিও আমলে নেয়নি সংস্থাটি।

এমন পরিস্থিতিতে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ত্যাগ করে ভারতে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৯ অক্টোবর পদত্যাগ করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ও কমিশনার (অনুসন্ধান) মোছা. আছিয়া খাতুন। 

চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগে ঝিমিয়ে পড়ে দুদকের সব কার্যক্রম। গত ১১ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। একই দিনে এদিন কমিশনার পদে যোগ দেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। গত ১৫ ডিসেম্বর যোগ দেন আরেক কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ। চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার যোগ দেওয়ায় স্থবিরতা কাটিয়ে ওঠে দুদক। তারা যোগ দেওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার, সাবেক মন্ত্রী, এমপি, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং আমলাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক।

যেভাবে পদত্যাগ করেন মঈনউদ্দীন কমিশন : গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি ক্রমশ জোরালো হয়ে ওঠে। এরপর থেকে ব্যাপক রদবদল হয় রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রায় তিন মাস পর শেখ হাসিনা সরকারের আজ্ঞাবহ মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ নেতৃত্বাধীন কমিশন পদত্যাগ করে গত ২৯ অক্টোবর। এদিন দুদক চেয়ারম্যানসহ কমিশনার জহুরুল হক ও কমিশনার আছিয়া খাতুন পদত্যাগ করেন। এদিন দুপুর ২টা ১০ মিনিটে হঠাৎই দুদকের প্রধান কার্যালয় ছাড়েন চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার। কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়া নীরবে চলে যাওয়ার পরই পুরো কমিশনের পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পরে। দুদকের কর্মকর্তারাও বিষয়টি অনুমান করতে পারেননি। সরকারের দুর্নীতির বিষয়ে নিশ্চুপ থাকার মতোই চলে যাওয়াটাও নীরবে হয়। এমনকি অপেক্ষমাণ গণমাধ্যমকর্মীদের চোখ ফাঁকি দেন তারা। দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনার আছিয়া খাতুন প্রধান ফটক দিয়ে বের হলেও অন্য কমিশনার জহুরুল হক বের হন পেছনের ফায়ার সেফটির লাল গেট দিয়ে। গত ৩১ অক্টোবর তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এর আগে আওয়ামী আজ্ঞাবহ মঈনউদ্দীন কমিশনের দুদক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল পিঠ বাঁচাতে তা থেকে প্রসিকিউশন প্রত্যাহার করে নেয়। এ ছাড়া মুহাম্মদ ইউনূসের পারিবারিক প্রতিষ্ঠানকে ৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া সংক্রান্ত আরেকটি মামলা প্রস্তুত করার পরও তা আর এগিয়ে নেয়নি।

সংস্কার কমিশন গঠন : গত ৪ অক্টোবর বিদ্যমান দুর্নীতি দমন কমিশনকে কার্যকর, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাবের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে ‘দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন ঠিক করা হয়। এতে সাবেক মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক মোস্তাক খান, ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারজানা শারমিন এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি রাখা হয়। যদিও পরে ২২ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের একজন সদস্যকে পরিবর্তন করা হয়। সদস্যদের মধ্যে সাবেক মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদের পরিবর্তে আরেক সাবেক মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক আহমেদ আতাউল হাকিমকে সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলে সচিবালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে থাকা স্বৈরশাসকের দোসরদের বিদায়ঘণ্টা বাজতে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় পতিত সরকারের আজ্ঞাবহ দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারকে সরিয়ে দেওয়াসহ দুদক ঢেলে সাজানোর দাবি ওঠে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়করাও একসময় দুদকে গিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে সংস্থাটির ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। দুদক সংস্কারে সরকার গঠন করে কমিশন। তখন সরকারের আস্থা অর্জনে দুদক ১৮০ জন সাবেক মন্ত্রী-এমপি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু দুদকের এসব কাজ লোক দেখানো বলে মন্তব্য করতে থাকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
দন্তহীন বাঘ ছিল দুদকের মঈনউদ্দীন কমিশন : ২০২১ সালে দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রভাবশালীদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। তবে সবই ছিল ফাঁকা বুলি। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ঘুষ ও অর্থ পাচারের ঘটনা গণমাধ্যমে উঠে এলেও পদক্ষেপ নেয়নি মঈনউদ্দীন কমিশন। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও দুর্বল বা বিরোধী দলের লোকদের ধরতেই ব্যস্ত ছিল কমিশন। এতে বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির যে ধারণাসূচক রয়েছে, সেখানে ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২তম এবং ২০২৩ সালে ১০ম স্থানে নেমে যায়। যদিও গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর আওয়ামী লীগের প্রায় দেড় শতাধিক মন্ত্রী, এমপি ও আমলার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে মঈনউদ্দীন কমিশন। এমনকি গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মঈনউদ্দীন কমিশন প্রায় আওয়ামী লীগের দুই শতাধিক মন্ত্রী, এমপিকে দায়মুক্তি দেয়। এ ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্টে পর বিএনপির নেতাকর্মীকেও অর্ধশতাধিক দেওয়া হয় দায়মুক্তি।

ঘটনার নেপথ্যে ঘটনা : ২০২৩ সালে দুদক উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষমতা দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হাত থেকে সরিয়ে সচিবের হাতে ন্যস্ত করা হয়। ফলে খর্ব হয় কমিশনের ক্ষমতা। এতে ক্ষোভ দেখা দেয় খোদ কমিশনে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়ে চাকরি হারান দুদকের আলোচিত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফদ্দিন আহমেদ। এমনকি গত ৫ আগস্টের পর ৩ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়া সাবেক সিনিয়র সচিব শাহ কামালের বাসায় পুলিশ ও আর্মির অভিযানে সহযোগিতা করার জন্য দুদকের দুই কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়। অথচ তার বিরুদ্ধে ওঠা এ অভিযোগ ২০২৩ সালে নিষ্পত্তি হয়। এ ছাড়া উচ্চ আদালতের চাপে সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের সময়ও তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। দুদকের অবহেলায় তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। গত সরকারের আমলে দুর্নীতিবাজ এস আলমের এক বিলিয়ন ডলার সিঙ্গাপুরে পাচার, ইসলামী ব্যাংকে ভয়ংকর নভেম্বর, হাজার কোটি টাকা পাচার, দুবাইয়ে গোল্ডেন ভিসায় ৫৪৯ আওয়ামী লীগ নেতার সেকেন্ড হোম অভিযোগসহ সাবেক মন্ত্রীদের অসংখ্য অভিযোগ আমলে না নিয়ে ফেলে রাখে মঈনউদ্দীন কমিশন। এমনকি মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন তার ভাই মহিউদ্দীন আবদুল্লাহর মাধ্যমে ঘুষের বিনিময়ে অভিযোগ পরিসমাপ্ত, বদলি ও পদোন্নতি বাণিজ্যসহ নানাবিধ দুর্নীতি করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরও দুদক আমলে নেয়নি। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও দুবাইয়ে বিপুল সম্পত্তির তথ্য থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসার পিয়ন জাহাঙ্গীর আলমের ৪০০ কোটি টাকার তথ্য দুদকে থাকার পারও ওই সময়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আর্থিক খাতে আলোচিত নাম চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে ব্যাংক দখল ও শেয়ারবাজার থেকে টাকা লুটপাটের অভিযোগ, এস আলম গ্রুপের ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক দখলসহ নানাবিধ দুর্নীতি, একটিরও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি সংস্থাটি। পুলিশ বিভাগের হারুন, বিপ্লব, হাবিবুরসহ বিভিন্ন দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলেও অনুসন্ধানের কাজে হাত দেওয়া হয়নি। সরকারের ৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর অনুমোদন দেয় দুদক। পরে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে তা প্রত্যাহার করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে দুদকের বিরুদ্ধে। দুদকের সাবেক মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ এ সংস্থায় যোগ দেওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। অনুসন্ধানও চলছিল তার দুর্নীতির বিষয়ে। এর মধ্যেই তাকে মহাপরিচালক হিসেবে আনা হয় দুদকে এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বাতিল করা।

দুদক, ব্যুরো থেকে কমিশন : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন ‘দুর্নীতি দমন ব্যুরো’ বিলুপ্ত করে ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় দুর্নীতি দমন কমিশন। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুলতান হোসেন খান। চার বছরের মেয়াদ পূরণের আগেই ২০০৭ সালে ‘এক-এগারোর’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পদত্যাগ করেন তিনি। ২০০৭ সালেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সাবেক সেনাপ্রধান হাসান মশহুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে পুনর্গঠিত হয় কমিশন। তিনিও মেয়াদ পূরণের আগেই পদত্যাগ করেন। এরপর ২০০৯ সালে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান সাবেক সচিব গোলাম রহমান। মেয়াদ শেষে তিনি ফিরে গেলে ২০১৩ সালে চেয়ারম্যান হন মো. বদিউজ্জামান। এরপর ২০১৬ সালের মার্চে নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব ইকবাল মাহমুদ। তার মেয়াদ শেষে ২০২১ সালের মার্চে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান সাবেক সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। তার সঙ্গে কমিশনার হিসেবে যোগ দেন সাবেক জেলা জজ মো. জহুরুল হক। এদিকে ইকবাল মাহমুদ কমিশনের সঙ্গে নিয়োগ পাওয়া কমিশনার মোজাম্মেল হক খানের মেয়াদ পূর্ণ হলে গত বছরের জুলাইয়ে সে পদে স্থলাভিষিক্ত হন সাবেক সচিব মোছা. আছিয়া খাতুন।

একই সঙ্গে আওয়ামী আজ্ঞাবহ মঈনউদ্দীন কমিশনের দুদক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল পিঠ বাঁচাতে তা থেকে প্রসিকিউশন প্রত্যাহার করে নেয়। এ ছাড়া মুহাম্মদ ইউনূসের পারিবারিক প্রতিষ্ঠানকে ৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া সংক্রান্ত আরেকটি মামলা প্রস্তুত করার পরও তা আর এগিয়ে নেয়নি মঈনউদ্দীন কমিশন।

সময়ের আলো/আরএস/ 





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close