ই-পেপার শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
ই-পেপার

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫

ঘাটে ঘাটে নৌযান চলাচল বন্ধ, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি
প্রকাশ: রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:২২ এএম  (ভিজিট : ২৩৪)

চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মাঝের চরে ৭ খুনের ঘটনার রহস্য উদঘাটন, দোষীদের শাস্তিসহ নানা দাবিতে পণ্যবাহী জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট চলছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে বরিশাল ও চট্টগ্রামে। শুক্রবার থেকে যুক্ত হয়েছে মুন্সীগঞ্জে লঞ্চঘাটের পণ্যবাহী জাহাজ শ্রমিকরা। ফলে মূলত স্থবির হয়ে পড়েছে নৌপথের সব কার্যক্রম। বিঘ্নিত হচ্ছে যাত্রী চলাচলসহ পণ্য পরিবহন।

গত ২৩ ডিসেম্বর চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে হরিণা ঘাটে মাঝেরচর এলাকায় এমভি আল-বাখেরা জাহাজে সন্ত্রাসী কায়দায় মাস্টারসহ ৭ শ্রমিককে হত্যা করা হয়। এই লোমহর্ষক ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার, মৃত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবিতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌযান পরিবহনের চাঁদপুর নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক শ. আ. মাহফুজ উল আলম মোল্লা বলেন, নৌযান শ্রমিকরা ৭ খুনের ঘটনায় যে দাবি-দাওয়া নিয়ে ধর্মঘটে নেমেছেন, এতে আমাদের ইজারাযুক্ত ঘাটগুলো অচলের মুখে রয়েছে। তাই আমরা রোববারের মধ্যেই ঊর্ধ্বতনকে নিয়ে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা চালাব।

 প্রাথমিকভাবে ডাকাত দলের নাশকতা বলে মনে করা হলেও, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা একে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জের কিংবা ভিন্ন কোনো মোটিফের আলামত বলে সন্দেহ করছেন।
আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও নিরাপত্তাহীনতা দেশের বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে ব্যাহত করে। বিগত সরকারের সময় দুর্নীতি-দুঃশাসন ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে দেশে প্রত্যাশিত বিনিয়োগ হয়নি। স্বৈরাচারের পতনের পর উন্নয়ন সহযোগীরা অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করতেই দেশে পরিকল্পিত নাশকতা ও নৃশংস গুপ্ত হত্যার ঘটনা বেড়ে চলেছে। এমনিতে দেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ, দুর্ঘটনাপ্রবণ এবং ব্যয়বহুল। মেঘনায় জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় নৌপরিবহন রুটে এক ধরনের ভীতি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। যত দ্রুত সম্ভব এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে নৌরুটে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অপরাধপ্রবণ নৌ-রুটগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারিসহ নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড ও র‌্যাবের নিরাপত্তা টহল জোরদার করা জরুরি।

ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক বিচারে এটি কোনো সাধারণ ডাকাতির ঘটনা নয়। নৌপথকে অস্থিতিশীল ও অনিরাপদ করে তুলতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।  এ ঘটনায়  মূল আসামিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে । তাতে ৭ খুনের সত্য উদঘাটিত হবে বলে  বিশ্বাস রাখছি ।

এ ধর্মঘটের ফলে নৌপথে পণ্য ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। যা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। পণ্য সংকটে পড়েছে মানুষ। পণ্যের দাম বাড়ছে হু হু করে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্টরা শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বসে এই ধর্মঘটের অবসান করবেনÑএটাই আমাদের প্রত্যাশা।




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close