ফ্যাসিস্ট হাসিনা রেজিমের অন্যতম হাতিয়ার ছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইন। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের লাগাতার আন্দোলনের চাপে তৎকালীন হাসিনা সরকার ওই আইন বাতিলে বাধ্য হয়।
তবে ২০১৮ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) নামে নতুন আইন প্রণয়ন করে। দু-একটি ধারা জামিনযোগ্য করলেও ডিএসএ অনেকাংশেই ছিল আইসিটি আইনের পুনরাবৃত্তি। ২০১৮ সালের বিতর্কিত ওই আইন নিয়েও প্রথম থেকেই সরব ছিলেন অধিকারকর্মীরা। এমনকি জুলাই অভ্যুত্থানেও অনেকে প্ল্যাকার্ড হাতে ডিএসএ বাতিল চেয়েছেন। ৫ আগস্ট হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়।
সম্প্রতি তারা অনুমোদন দেয় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪-এর খসড়ার। তবে অনুমোদিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া নিয়ে আপত্তি তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে সাজা ও অর্থদণ্ডের পরিমাণ কমালেও আগের আইনের মতোই নতুন অধ্যাদেশেও বিভিন্ন ধারা বহাল রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে পুরোনো ডিসিএর মতো করেই এই খসড়াতেও নির্বিচারী পুলিশি ক্ষমতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। একে ‘পুরোনো বোতলে নতুন মদ’ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। কেউ কেউ আবার এভাবে দেখতে নারাজ। প্রস্তাবিত খসড়ার সমালোচনা করলেও তারা বলছেন, ডিএসএর চেয়ে এই আইনে কিছু হলেও ইতিবাচক দিক রয়েছে।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের বর্তমান খসড়ায় আগের বিতর্কিত সাতটি ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে। ধারাগুলো হলো : মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক প্রচারণার দণ্ড; পরিচয় প্রতারণা বা ছদ্মবেশ ধারণ; আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শন, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ ইত্যাদি; অনুমতি ব্যতীত পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার, ইত্যাদির দণ্ড; মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার। আগের আইনের সাইবার নিরাপত্তা কাউন্সিলের বিধান নতুন অধ্যাদেশে রাখা হয়নি। এ ছাড়া বাদ পড়েছে ক্ষমতা অর্পণ, সাক্ষ্যগত মূল্য ও অসুবিধা দূরীকরণ শীর্ষক ধারাগুলোও।
তবে ডিএসএর মতোই নতুন আইনে কোনো ধরনের পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশকে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতারের পূর্ণ ক্ষমতা বহাল রাখা হয়েছে। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪-এর ৩৬-এর ১ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো পুলিশ কর্মকর্তার এমন বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকে যে কোথাও এ অধ্যাদেশে বর্ণিত কোনো অপরাধ কোথাও সংঘটিত হয়েছে বা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে তিনি এমন বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করে ওই স্থানে প্রবেশ করে তল্লাশি চালাতে পারবেন। এক্ষেত্রে বাধাপ্রাপ্ত হলে তিনি ৩৬(১)(ক) ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে পারবেন, ৩৬(১)(খ) তল্লাশি চালানোর সময় অপরাধে ব্যবহৃত কম্পিউটার, সিস্টেম, নেটওয়ার্ক বা তথ্য-উপাত্ত সরঞ্জাম এবং অপরাধ প্রমাণে সহায়ক দলিল জব্দ করতে পারবেন, ৩৬(১)(গ) সংশ্লিষ্ট স্থানে উপস্থিত যে কারও দেহ তল্লাশি এবং ৩৬(১)(ঘ) উপস্থিত যে কাউকে সন্দেহবশত গ্রেফতার করতে পারবেন। এর আগে রহিত হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪৩ ধারায়ও পুলিশকে একই ধরনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।
বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের মতো সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ায়ও যদি পুলিশের পরোয়ানা ব্যতীত তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে হয়রানির আশঙ্কা বেশি থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষক ও মানবাধিকারকর্মী রেজাউর রহমান লেনিন হাসিনা আমলে ডিএসএ আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। নতুন খসড়া সম্পর্কে তিনি সময়ের আলোকে বলেন, পরোয়ানা ছাড়া পুলিশের গ্রেফতারের বিষয়টি অত্যন্ত খারাপ বিষয়।
একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে পুলিশের বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার কিংবা বিভিন্ন জায়গায় ঢোকার সুযোগ দণ্ডবিধির মধ্যেও রয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো ডিজিটাল ফরেনসিক ক্রাইম বা সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুলিশের কি বিনা পরোয়ানায় ঢোকার প্রয়োজন হয় কি না। আমি মনে করি হয় না। কারণ বাংলাদেশের পুলিশের কাছে যথেষ্ট পরিমাণের টেকনোলজিক্যাল সাপোর্ট আছে। যার মাধ্যমে সে পুরো কাজটা সম্পাদন করতে পারে। তাই আমি মনে করি এই কাজটি একটি ঘৃণিত কাজ হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বিনির্মাণ বা গণতন্ত্রায়ন প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই আইনের ব্যবহারের মধ্য দিয়ে।
নতুন অধ্যাদেশে অপরাধের আওতায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে ব্ল্যাকমেইলিং (প্রতারণা) ও অশ্লীল বিষয়বস্তু প্রকাশ-সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ড। খসড়ার ২৫। (১) ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো ব্যক্তিকে অপমান, ব্ল্যাকমেইল বা হেয় প্রতিপন্ন করিবার অভিপ্রায়ে সৃষ্ট কোনো তথ্য, অশ্লীল ভিডিও চিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থির চিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোনো উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যাহার কোনো শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই এইরূপ কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন, কিংবা প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করার হুমকি প্রদান করেন, যাহা আক্রমণাত্মক, ভীতি প্রদর্শক কিংবা ব্যক্তি বা সামাজিক মর্যাদা হানিকর; তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।
রেজাউর রহমান লেনিন বলছেন, অধ্যাদেশে সাইবার বুুলিংয়ের কোনো সংজ্ঞায়ন করা হয়নি। একটি ওয়ার্কিং সংজ্ঞা দেওয়া দরকার ছিল। সেটি ভালো হতো। একজন উপদেষ্টার উপদেষ্টা ফায়েজ তৈয়ব উদাহরণ হাজির করে বলেছেন, ২৫ (১) ধারার মাধ্যমে এখন নারীদের বিরুদ্ধে বুলিং নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। তবে বোঝা দরকার, মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন সব মিলেমিলে একাকার হয়ে গেছে। যে কোনো এক্সপ্রেশনের ইমিডিয়েট হার্ম এবং ইনটেনডেট হার্মের বিষয়টি বোঝা দরকার। আমি কোনো একটি কাজ করলেই আপনার ক্ষতি হয় না। ক্ষতি হলে দূরের ক্ষতি হতে পারে। সেই দূরের ক্ষতির ওপর দাঁড়িয়ে কাউকে অপরাধী বলা যাবে না। আবার কারও পর্নোগ্রাফি কিংবা নগ্ন ছবি ছেড়ে দেওয়া হলে, সে ক্ষেত্রে তার একটি ইমিডিয়েট ক্ষতি হচ্ছে। সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য হয়তো সাইবার বুলিংটা কাজ করবে।
হাসিনা সরকারের সময় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ছিলেন ডিএসএর বিরুদ্ধে সবথেকে বলিষ্ঠ কণ্ঠদের অন্যতম। এই আইনের শিকার রাজনীতিক-বুদ্ধিজীবী-শিক্ষার্থীসহ বহু মানুষকে আইনি সহায়তা দিয়েছেন তিনি। জ্যোতির্ময় সময়ের আলোকে বলেন, পুলিশের ক্ষমতা এবং সাইবার বুলিংসহ এবারের অধ্যাদেশ খিচুড়ি পাকানো এবং আগের পুরোনো কাঠামোটিকেই ফিরিয়ে নিয়ে আসছে। নতুন বোতলে পুরাতন মদের মতো। কিছু কিছু ধারার ক্ষেত্রে নতুন বোতলে পুরাতন মদের চেয়েও খারাপ হয়েছে। সাইবার বুলিংকে এখানে অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িতই করা হয়নি। সংজ্ঞার মধ্যে যেটি থাকার কথা, সেটি ব্যাখ্যার মধ্যে নিয়ে আসছে। ফলে মানহানি নিয়ে আমাদের যে দাবি ছিল, যে এটি তো ফৌজদারি অপরাধ না। এটিকে দেওয়ানি প্রকৃতির অপরাধের মধ্যে ঢোকানো উচিত। কিন্তু এখানে আবার সেই আগের মতোই টেনেটুনে ঢোকানো হয়েছে।
আইনজীবী ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমও এই খসড়াকে নতুন বোতলে পুরাতন মদ হিসেবে দেখছেন। সময়ের আলোকে তিনি বলেন, পুলিশের ক্ষমতাসহ এই আইনের অনেক ধারাই নতুন বোতলে পুরাতন মদের মতো। এগুলো আগের আইনের মতো তো হুবহু রাখা যাবে না। পুলিশকে তো এই ক্ষমতা কোনোভাবেই দেওয়া যাবে না।
রেজাউর রহমান লেনিন অবশ্য একে ‘নতুন বোতলে পুরাতন মদ’ বলতে নারাজ। তিনি বলেন, নতুন বোতলে পুরাতন মদ একটি ভুয়া কথা। যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থেকে সাইবার নিরাপত্তা আইন হয়েছে, তখনও নতুন বোতলে পুরাতন মদ হয়নি। বরং মানুষের মৃত্যুযন্ত্রণা, মানুষের ওপর নির্মম নির্যাতনের যন্ত্রণা আরও ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন কিছু অংশে মাত্রাটি কমবে। কিন্তু পুলিশের এই ব্যাপক নিয়ন্ত্রণহীন ক্ষমতা থাকার ফলে সেটা আবার একটি প্রক্রিয়ায় বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে।
খসড়ার ব্ল্যাকমেইলিং (প্রতারণা) ও অশ্লীল বিষয়বস্তু প্রকাশসংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ডবিষয়ক ধারায় অবশ্য যে কারও মামলা করার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। ২৫ ধারায় বলা হয়েছে, সরাসরি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা তার নিয়োগকৃত ব্যক্তি অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বাদে অন্য কেউ এ আইনের অধীনে মামলা করতে পারবেন না। আগের আইনে ২৫ ধারায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিসহ যে কারোরই মামলা করার সুযোগ ছিল। সে সময় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের অবমাননার কথা বলে রাজনৈতিকভাবে অনেকেই এর অপপ্রয়োগ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
রেজাউর রহমান লেনিন বলেন, এই আইনে অনেকগুলো ভালো দিকও আছে। যেমন আপনি মিথ্যা মামলা করলে আপনি প্রতিকার পেতে পারেন। ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। একই সঙ্গে এখনও যেসব মামলা বহাল আছে, তার অনেকগুলো থাকবে না। সহজ ভাষায়, এই আইনের ইতিবাচক জায়গাগুলোকে স্বীকৃতি দিতে হবে। যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে যে অদ্ভুত, অপ্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা ছিল, সেটি বাদ হয়েছে। তবে যেটি রয়ে গেছে, এখনও এক্সপ্রেশনটিকে ক্রিমিনালাইজড করে রাখা হয়েছে নানা জায়গায়। তার মতে, মামলায় শাস্তির বিধান, আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন না করা, প্রাতিষ্ঠানিক কার্যকরণ, এসবগুলো আগের মতোই রয়ে গেছে।
নতুন খসড়া অধ্যাদেশের ধারা ৮-এ বলা আছে, ডিজিটাল কিংবা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি সৃষ্টি করলে সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির মহাপরিচালক সেসব অপসারণ অথবা ব্লক করার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবেন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে যদি বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে ডিজিটাল কিংবা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের অথবা কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে কিংবা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা অপসারণ বা ব্লক করার জন্য মহাপরিচালকের মাধ্যমে বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ড্রাফটি খুবই কাঁচা হাতের মনে হয়েছে এবং আইন সম্পর্কে যথাযথ ধারণা না থাকার কারণে ডিসপ্রপেশনেট শাস্তির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। আইনজীবী, অধিকারকর্মীসহ অসংখ্য মানুষ ডিএসএ বাতিল চেয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। এবারের জুলাই আন্দোলনেও অনেকে এই আইনটি বাতিল চেয়েছে। এখানে কি তার প্রফিতলন ঘটেছে? একই সঙ্গে দুদিন সময় দিয়ে ওয়েবসাইটে মানুষের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে। তার প্রশ্ন, দুদিনে একটি আইনের বিষয়ে রিভিউ কি সম্ভব?
সময়ের আলো/আরএস/