সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব থাকেন সাব্বির রহমান। একা একা অনুশীলন করেন, সেই ছবি-ভিডিও আবার শেয়ারও করেন নিজের ফ্যানপেজে।
কয়েক দিন আগে রাজশাহীর কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ব্যাটিং অনুশীলনের ভিডিও শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘আবহাওয়া উপভোগ করছি।’ সাব্বির আবহাওয়াটা উপভোগ করলেও অনুন্নত অবকাঠামোয় অনুশীলন কতটা উপভোগ করেছেন সেই প্রশ্ন থেকে যায়।
একসময় জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য এখন একেবারেই অনিয়মিত। ঘরোয়া ক্রিকেটেও সুযোগ পান না ঠিকঠাক। গত বিপিএলে দল পাননি, এবার অবশ্য ঢাকা ক্যাপিটেলসের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। সুযোগ পেয়ে নিজেকে ফিরে পাওয়ারও ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন এই হার্ডহিটার ব্যাটার।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে সাব্বির। গত মে মাসে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পর কোনো স্বীকৃত ক্রিকেট খেলেননি ৩৩ বছর বয়সি ব্যাটার। মাঝে খেলেছেন জিম্বাবুয়ে টি-টেন ও লঙ্কা টি-টেনে। টুর্নামেন্ট দুটিতেও আহামরি কিছু করতে পারেননি তিনি। তাই বিপিএল দিয়ে ভালো কিছু করার তাড়না কাজ করছে তার ভেতর। আর চার দিন পরেই শুরু বিপিএলের ১১তম আসর। তার আগে সাব্বিরকে পাওয়া গেল মিরপুরে।
বিপিএলের দলীয় অনুশীলন শুরুর আগে মিরপুরে বিসিবির জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে একক অনুশীলন শুরু করেছেন সাব্বির। বুধবার লম্বা ব্যাটিং সেশনের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফেরার লড়াইয়ে থাকা ক্রিকেটারদের জন্য সারা দেশে যথাযথ অনুশীলনের ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তিনি। কেননা জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লে সেই প্লেয়ার বঞ্চিত হন বিসিবির তত্ত্বাবধানে অনুশীলন থেকে। এমনকি ব্যবহারও করতে পারেন না বিসিবির জিম।
সাব্বির যেমনটা বললেন, ‘(জাতীয় দলে ফেরার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে) বিষয়টা হচ্ছে আপনি কোথায় অনুশীলন করতে চান? যদি মিরপুরে করেন, তা হলে এটি অসম্ভব। কারণ এখানে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা থাকে, অনেক ব্যস্ততা থাকে। এই সুবিধা যদি সব বিভাগে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, যারা ত্রিশজনের বাইরে থাকবে বা পাইপলাইনের আশপাশে থাকবে, তারা সেগুলো ব্যবহার করতে পারবে। মেশিন বা (কংক্রিট) সø্যাব ব্যবহার করতে পারবে।’
ব্যাটিং অনুশীলন করতে সাব্বির নিজের খরচে বেশ কিছু সরঞ্জাম কিনেছেন। যা অনেক উদীয়মান ক্রিকেটারের কেনার সামর্থ্য নেই। তাই তার চাওয়া বিসিবি যেন সারা দেশে অনুশীলনের জন্য উন্নত ব্যবস্থা করে, ‘আমি নিজের খরচে সø্যাব কিনেছি, মেশিন ব্যবহার করেছি। উদীয়মান যারা আছে, তাদের হয়তো সেই সামর্থ্য নাও থাকতে পারে। এই (অনুশীলন সুবিধার) পরিকল্পনা সব বিভাগের জন্য করা উচিত। যেন এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে যে কেউ দলে কামব্যাক করতে পারে।’
দেশের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে গত কয়েক মাস না খেলতে পারলেও সাব্বির মনে করেন দেশের বাইরের দুটি টি-টেন তাকে সাহায্য করবে, ‘টি-টেন লিগের খেলাটা বিপিএলে অনেক বড় কাজে দেবে। সেখানে যে দায়িত্বে খেলেছি, এখানে ৫-৬ নম্বরে হয়তো খেলব, অনেক বড় দায়িত্ব হবে আমার জন্য। আত্মবিশ্বাসটাও ভালো হবে।’
সময়ের আলো/আরএস/