বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, সবার আগে, সব কিছুর আগে দেশ। আমাদের মধ্যে ধর্মের কিংবা রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু দেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা, ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। জনগণের রায় নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করলে গারো, হাজংসহ সকল নৃগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে পৃথক অধিদফতর প্রতিষ্ঠা করা হবে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিন উপলক্ষে গির্জা ও মিশনে প্রার্থনা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বড়দিন উপলক্ষে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের কুমুরিয়া, বিড়ই ডাকুনী, চরবাঙ্গালিয়া, বোয়ালমারা এলাকায় বিভিন্ন গির্জা ও মিশনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জনগণের সঙ্গে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি গির্জাসমূহে বড়দিন উপলক্ষে কেক উপহার দেন এবং কেক কাটেন।
এছাড়াও তিনি দুস্থ, অসহায় নারীদের শীতবস্ত্র উপহার দেন। হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা ৪৫টিমে বিভক্ত হয়ে ১৮২গির্জা ও মিশনে দুদিন স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করছেন এবং গারোদের প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান ।
এসময় সমবেত গারো সম্প্রদায়ের জনগণের উদ্দেশ্যে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে সম্প্রীতি বিনষ্টের সকল চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। জনগণের রায় নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করলে গারো, হাজংসহ সকল নৃগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে পৃথক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হবে। হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ার গারো জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি, কালচার, ইতিহাস, ভাষা তুলে ধরতে পৃথক জাদুঘর স্থাপন করা হবে।
এসময় গারো জনগোষ্ঠীর নেতা জর্নেস চিরান, আন্দ্রীয় দ্রং, প্রবীর সাংমা, অধীর রংমা, মর্নিংটন রেমা, সতুয়েল রিছিল, সন্তোষ রেমা, ডা. লুচি দারেং, ডা. তাপস রেমা, নিবাস চাম্বুগং, প্রদীপ সাংমা এবং বিএনপি নেতা আসলাম মিয়া বাবুল, হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, আবু হাসনাত বদরুল কবির, আলী আশরাফ, কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ খান, আসাদুজ্জামান আসিফ, আনোয়ার হোসেন, মোশাররফ হোসেন, মেহেদী হাসান দুলাল, আলিমুল ইসলাম, নাইমুর আরেফীন পাপন, নূরে আলন জনি, তাজবীর হোসেন অন্তর, মশিউজ্জামান, নাহিদ হাসান উজ্জলসহ গির্জা প্রধান, পরিচালনা কমিটির সদস্য, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।