প্রকাশ: বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৪২ এএম (ভিজিট : ৩০০)

অসহায় ভানু বিবির (৮০) মুখে এখন আনন্দের হাসি। স্থায়ী ঘর হয়েছে তার। মঙ্গলবার দুপুরে গোপালঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ইউএনও শাহীনুর আক্তার ভানু বিবিকে ভাঙাচোরা ঝুপড়ি ঘর থেকে নতুন ঘরে তুলে দেন। এ সময় উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রাকিবুল হাসান শুভ, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার রাশেদুর রহমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলার চিত্রাপাড়া গ্রামের মৃত রাহেনউদ্দিনের মেয়ে ভানু বিবি। ৬০ বছর আগে বিয়ে হয় পিঞ্জুরী ইউনিয়নের পূর্ণবতী গ্রামের কুটি মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের ২০ বছর পর ভানু বিবির স্বামী কুটি মিয়া মারা যায়। ভানু বিবি ফিরে আসেন বাবার বাড়ি চিত্রাপাড়ায়।
এরপর বাবার বাড়ির স্বজনরা ভানুকে আবার বিয়ে দেয় রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের বাবন মোল্লার সঙ্গে। বিয়ের ২৫ বছর পর স্বামী বাবন মোল্লাও মারা যায়। দ্বিতীয়বারের মতো ভানু বিবি ফিরে আসেন বাবার বাড়িতে। দুই ভাই আবুল হাসেম ও আবুল কাসেম মারা গেছেন আগেই। ফলে এবারের ফেরা বড় একা করে দেয় ভানুকে। ধীরে ধীরে বয়স বাড়ে, বয়সের ধাক্কায় ন্যুব্জ হয়ে পড়ে শরীর। আত্মীয়-পরিজনহীন ভানুকে দেখার মতো কেউ নেই। পৈতৃক ভিটায় এশটি ঝুপড়ি ঘরে একা বাস করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভানু বিবির এই করুণ কাহিনি পড়ে ইউএনও শাহীনুর আক্তার খোঁজ নিতে ভানু বিবির বাড়িতে যান। তখন অর্থ, শীতের পোশাক, খাদ্যসামগ্রী, ফল ও প্রসাধনী সামগ্রী তুলে দেন ভানু বিবির হাতে। ভানুর জন্য একটি ঘর নির্মাণের আশ্বাসও দেন তিনি। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার ভাঙাচোরা ঝুপড়ি ঘর থেকে ভানু বিবিকে নতুন ঘরে নিয়ে আসেন ইউএনও।
ইউএনও শাহীনুর আক্তার বলেন, ভানু বিবির যেভাবে জীবনযাপন করছিল তা সত্যিই অমানবিক। দুরবস্থা দেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে একটি ঘর তৈরি করে দিই। আজ আমি তাকে সেই ঘরে উঠিয়ে দিলাম। সেইসঙ্গে চৌকি, লেপ, তোশকসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয় ভানু বিবির জন্য।