ই-পেপার শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫
শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫
ই-পেপার

শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫

গ্যাস সংকট মোকাবিলায় জোর দিচ্ছে সরকার
প্রকাশ: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৪১ এএম  (ভিজিট : ৩৬৬)

দেশে গ্যাস সংকট মোকাবিলায় সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনা করছে বর্তমান সরকার। একই সঙ্গে এলএনজি গ্যাস আমদানি কমানোর কথাও ভাবছে সরকারের নীতিনির্ধারকরা। ফলে গ্যাসের কূপ খনন ও জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উঠছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বিভাগের তিনটি প্রকল্প। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জ¦ালানি ও বিদ্যুৎ বিভাগের এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে দুই থেকে আড়াই বছর সময় লাগবে। ফলে আপতত গ্যাস সংকট মোকাবিলায় এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এদিকে পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০টি গ্যাসের কূপ খনন করা হবে। একই সঙ্গে গ্যাসের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে।

জানা গেছে, আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা হবে। একনেক সভায় সভাপতিত্ব করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মোট ১৫টি প্রকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ৮টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য একনেক সভাকে অবহিত করা হবে।  এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ১৭৯ কোটি  ৯৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের মধ্যে ৩টি প্রকল্প রয়েছে জ¦ালানি ও বিদ্যুৎ বিভাগের। এ ছাড়া দুইটি কৃষি মন্ত্রণালয়, একটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, একটি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প রয়েছে।
  
এ ছাড়া পরিকল্পনা উপদেষ্টা অনুমোদিত ৬টি প্রকল্প প্রস্তাব একনেক সভাকে অবহিত করার জন্য উপস্থাপন করা হবে। বাকি একটি অনুমোদিত প্রকল্প বাতিলের জন্য প্রস্তাব করা হবে। একনেকে অনুমোদনের জন্য জ¦ালানি ও বিদ্যুৎ বিভাগের যেসব প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে সেগুলো হলো-ভোলা নর্থ গ্যাস ক্ষেত্রের জন্য ৬০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেস প্লান্ট সংগ্রহ ও স্থাপন প্রকল্প, রশিদপুর-১১ নম্বর কূপ খনন প্রকল্প, ২ডি সিসমিক সার্ভে ওভার এক্সপ্লোরেশন ব্লক ৭ অ্যান্ড ৯ প্রকল্প। এই তিন প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে ৮১০ কোটি ২৬ লাখ টাকা।  

অন্যসব প্রকল্প হলো-চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারি এবং নয়াহাট) নদী-বন্দর নির্মাণ প্রকল্প, আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্প, কুমিল্লা অঞ্চলে টেকসই কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প, অর্থনৈতিকভাবে জীবনচক্র হারানো রাবার গাছ কর্তন-পুনঃবাগান সৃজন ও রাবার প্রক্রিয়াকরণ আধুনিকায়ন প্রকল্প এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৬০টি ডে-কেয়ার সেন্টার প্রকল্প।

একনেক সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্যের মধ্যে বৈঠকে ইতিপূর্বে পরিকল্পনা উপদেষ্টার অনুমোদন দেওয়া ৬টি প্রকল্প অবগতির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। এ প্রকল্পগুলো হচ্ছে-মাদানী অ্যাভিনিউ থেকে বালু নদী পর্যন্ত প্রশস্তকরণ এবং বালু নদী থেকে শীতলক্ষ্যা নদী পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প, নির্বাচিত ফসলের নন-হিউম্যান কনজাম্পশন এবং ফসলের ক্ষতি ও অপচয় নিরূপণ জরিপ প্রকল্প, অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্প, বাংলাদেশের প্রাণিকুলের রেড লিস্ট হালনাগাদকরণ প্রকল্প এবং চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিআইডিপি-৪) প্রকল্প। 

 অন্যদিকে মৌলভীবাজারের লাঠিটিলা বনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক শীর্ষক প্রকল্পটি একনেকে বাতিলের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে দেশে গ্যাস সংকটে কমে গেছে শিল্প-কারখানার উৎপাদন। সিরামিক, ইস্পাত ও টেক্সটাইল খাতের উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। শিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, শিল্প খাত না বাঁচলে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি থেমে যাবে। তাই শিল্পের গ্যাস-বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে জোরালো উদ্যোগ নিতে হবে।
পরিকল্পনা কমিশশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান সময়ের আলোকে বলেন, বর্তমান গ্যাস সংকটের সমাধানে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। তবে দেশের সংকট মোকাবিলায় সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করা  হচ্ছে। তবে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে দুই থেকে আড়াই বছর সময় লাগবে।

সময়ের আলো/আরএস/ 







https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close