প্রকাশ: রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৫২ পিএম (ভিজিট : ৮৬)
বিগত ১৫ বছর কেউ ভোট দিতে পারেনি মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। আমরা ক্ষমতায় গেলে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করব। আমরা ভোট দিতে পারলে সঠিক লোক নির্বাচন করতে পারব এবং সেই লোক পার্লামেন্টে গিয়ে আমাদের জন্য ভাল ভাল কাজ করবেন।’
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না। তারা চায়, তারা যেন ভোট দিতে পারে। আমাদের দেশটা যেন শান্তিতে থাকে। জিনিসপত্রের দাম যেন কম হয়। মারামারি যেন না হয়। চুরি-ডাকাতি যেন না হয়।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া হাইস্কুল মাঠে ‘সাম্য, সম্প্রীতি ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের’ জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রায় ১৫ বছর দেশের মানুষ একটা ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট দানব সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আমরা বার বার জেলে গেছি। আপনারাও জেলে গেছেন, পালিয়ে থেকেছেন। ঘরে থাকতে পারেননি। সারা বাংলাদেশে তারা ভয়, ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল। জোর করে তিনটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় বসেছিল। ভেবেছিল, কোনোদিন ক্ষমতা থেকে যাবে না। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে পরিবারের সবাইকে নিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। যিনি সবসময় বলতেন, আমি পালাই না। আমি ভয় পাই না। তিনিই এখন সারাদেশের অসংখ্য আওয়ামী লীগারদের বিপদে ফেলে পালিয়ে গেছেন। এই হল ফ্যাসিবাদের পরিণতি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা সংস্কার তো চাই। ২০১৬ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ দিয়েছিলেন। এরপর তারেক রহমান ২০২২ সালে ৩১ দফা দিয়েছেন। সেই ৩১ দফাই সংস্কার।
তিনি বলেন, ছাত্রদের ধন্যবাদ দিতে চাই। আমাদের ভাইদের ১৫ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছে। তারা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে আবারও আমাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশটাকে গড়ে তুলব।
সময়ের আলো/আরআই