কুমিল্লার সদর দক্ষিণে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো. আজাদ মিয়া (৪৫) নামে এক রিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই নির্মম ঘটনা ঘিরে জেলাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরী টছমব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত আজাদ মিয়া দৌলতপুর পশ্চিম পাড়ার লাইলির বাড়ির মরহুম সাদেক মিয়ার বড় ছেলে। এ ঘটনায় নিহত আজাদের স্ত্রী সদর দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাস্তায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর মোটরসাইকেলের মালিক রিকশাচালক আজাদকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। মারধরের পর অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই আজাদ মারা যান।
পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। প্রায় শনাক্ত হয়েও গিয়েছে। এদিকে, ঘটনার পর থেকেই এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
এদিকে,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ার পর নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন। স্থানীয় বেশ কয়েকজন বলেন, ‘এই নির্মম হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই, দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’
কুমিল্লা নগরী টছমব্রিজ এলাকার বাসিন্দা রাকিব হোসেন তার ফেসবুকে লেখেন, এভাবে দিনে দুপুরে প্রকাশ্য হত্যা করা জঘন্যতম অপরাধ, আজ রিকশা চালক হওয়ায় তার বিচার পাওয়া যাচ্ছে না, দুঃখজনক।
কুমিল্লা সরকারি কলেজে শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন, এভাবে প্রতিনিয়ত মগ জাস্টিস হচ্ছে, কেউ অপরাধী হলে দেশের আইন অনুসারে তার বিচার হওয়া উচিত, এভাবে পিটিয়ে মারা কোন ধরনের সভ্যতা এইভাবে পিটিয়ে হত্যা করা কিসে আলামত?
এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, দোষীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে এবং দ্রুত তদন্ত শেষ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাইকে কারা কারা ছিলেন তা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। শনাক্ত হয়ে যাবে খুব শীঘ্রই। আসামীদের গ্রেফতারের পর তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সময়ের আলো/এম