৮ থেকে ১০ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা উঠানামা করছে, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ
প্রকাশ: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৪২ এএম (ভিজিট : ৯২)
শীতের তীব্রতা বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন দেশের উত্তরের দুই জেলা কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়েরর হতদরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষজন। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও রাত হতেই নেমে আসছে ঘন কুয়শার সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা। এতে করে শীতকষ্টে ভুগছেন স্থানীয়রা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
কুড়িগ্রাম : শুক্রবার সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত বৃহস্পতিবারও ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক মাস ধরে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও রাত হতেই নেমে আসছে ঘন কুয়ার সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা। এতে করে শীতকষ্টে ভুগছেন জেলার চরাঞ্চলের মানুষসহ দিনমজুর শ্রেণির মানুষেরা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এসব মানুষের শীত নিবারণে সরকারিভাবে ২৭ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসন।
জেলা সদরের হলোখানা ইউনিয়নের হরিকেশ এলাকার আজাদ মিয়া বলেন, এত ঠান্ডা পড়ছে যে সকালে কাজ করা যায় না, হাত-পা বরফ হয়ে যায়। আমরা গরিব মানুষরা খুব কষ্টে পড়ছি। একই এলাকার কপিল উদ্দিন বলেন, রাতে ঠান্ডা কারণে ঘুম হয় না। এই সময় কম্বল পাইলে অনেক উপকার হতো।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এ সপ্তাহের মধ্যেই জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, আপাতত শীত ও ঠান্ডায় কোনো ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে বোরো বীজতলার কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। আমরা কৃষকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছি যাতে বীজতলার কোনো ক্ষতি না হয়।
পঞ্চগড় : উত্তরের হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ে পাহাড় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় বেড়েছে শীত। কিছু দিন থেকে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৬টায় ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায়।
তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যে শৈত্যপ্রবাহ ছিল তা কেটেছে। সকালেই দেখা মিলছে সূর্যের। হিমশীতল বাতাসের কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে। এদিকে তীব্র শীত আর একটানা কুয়াশার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
সময়ের আলো/আরএস/