প্রকাশ: শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:১১ পিএম (ভিজিট : ১০৪)
সাতক্ষীরার ভোমরার সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীর ২৩ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক কলেজ ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামি মেহেদী হাসান মুন্না আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিম‚লক জবানবন্দী দিয়েছ।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুজাতা আমিন এর কাছে সে এই স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে। মেহেদী হাসান মুন্না (২৪) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুচপুকুর এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ভোমরার মেসার্স মা ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আমির হামজার কর্মচারী শওকত আলী ও ওবায়দুল্লাহ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা শহরের ইসলামী ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক থেকে ২৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫শ’ টাকা তুলে মোটরসাইকেলে ভোমরায় যাচ্ছিল। শওকত আলী মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল এবং ওবায়দুল্লাহ টাকার ব্যাগ নিয়ে তার পিছনে বসে ছিল।
তারা সন্ধ্যা সোয়া পাঁচটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা- ভোমরা সড়কের আলিপুর ঢালীপাড়া এলাকায় পৌছালে ছিনতাইকারীরা হাতুড়ি দিয়ে শওকাতের মাথায় আঘাত করলে তারা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। এসময় ছিনতাইকারীরা টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ছিনতাইকারী মেহেদী হাসান মুন্নাকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের সোপর্দ করা। বাকি ৩ ছিনতাইকারী টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মামলার ব্যবসায়ী আমির হামজা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ পরিদর্শক(এসআই) মেহেদী হাসান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি মেহেদী হাসান মুন্না সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুজাতা আমিন এর আদালতে শুক্রবার বিকালে স্বীকারোক্তিম‚লক জবানবন্দী দিয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসআই মেহেদী হাসান আরও জানান, জবানবন্দি প্রদানকালে আসামি মুন্না জানায়, সে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র। সপ্তাহখানেক আগে তার স্ত্রীর সিজার হয়েছে। সাত দিন বয়সে তার একটি সন্তান রয়েছে। বর্তমান সময়ে সে খুবই আর্থিক কষ্টে ভুগছিল। এসময় আরাফাত তাকে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে একটি কাজের প্রস্তাব দেয়। কোন কিছু না বুঝেই সে তার প্রস্তাবে রাজি হয়। একপর্যায় বৃহস্পতিবার বিকালে আরাফাত, এজাজ ও নয়নের সাথে সে এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় অংশ নেয়। কিন্তু সে ধরা পড়ে।
মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান।