প্রকাশ: শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৩ এএম (ভিজিট : ৫২)
লুসাইলের যে মাঠে দুই বছর আগে অশ্রুসিক্ত বিদায় নিয়েছিলেন, সেই মাঠেই এবার হাসিমুখে মাঠ ছাড়লেন কিলিয়ান এমবাপে। রিয়াল মাদ্রিদকে আন্তঃমহাদেশীয় কাপ জেতানোর পেছনে রাখলেন বড় অবদান।
শুধু এমবাপেই নয়, দুদিন আগে ফিফা দ্য বেস্টের স্বীকৃতি পাওয়া ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও প্রতিপক্ষের জালে গোল করেছেন। ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলে তার সতীর্থ রদ্রিগোও পেয়েছেন জালের দেখা। তাতে পাচুকা এফসির বিপক্ষে কার্লো আনচেলত্তির দল জিতেছে ৩-০ ব্যবধানে। আর রিয়াল পেয়েছে মৌসুমের দ্বিতীয় শিরোপার স্বাদ।
ম্যাচের শুরুটা গুমটে হলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে আধিপত্য বিস্তার করে রিয়াল। টানা দুটি আক্রমণ শানিয়েও গোল পাননি রদ্রিগো। তবে ব্রাজিলিয়ান তারকার হতাশাকে দীর্ঘ হতে দেননি এমবাপে। মিনিট দশেক পর রিয়ালকে প্রথম গোল এনে দেন ফরাসি অধিনায়ক। যদিও গোলের বড় কৃতিত্বটা ভিনিরই প্রাপ্য। পাচুকা গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে এমবাপের গোল করার সুযোগ করে দেন তিনি। আর সেই সুযোগ লুফে নিতে ভুলেননি এমবাপে। ওই এক গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল না পাওয়ার আক্ষেপ ঘুচান রদ্রিগো। বক্সের বাইরে থেকে আড়াআড়ি এক নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান এই ব্রাজিলিয়ান। গোল হজমের পর কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা চালায় পাচুকা। ৫৯ মিনিটে ভালো একটা সুযোগও তৈরি করে মেক্সিকোর ক্লাবটি। তবে ইদ্রিসির নেওয়ার শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন থিবো কর্তোয়া। ৮৪ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ভিনিসিয়ুস। পেনাল্টি থেকে গোল করে রিয়ালের শিরোপা জয় নিশ্চিত করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
আনচেলত্তি দ্য বেস্ট : নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মাহাত্ম্য বোধহয় কার্লো আনচেলত্তির চেয়ে বেশি কেউই জানেন না। কেননা রিয়ালের কোচ হিসেবে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় আরোহণ করেছেন। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতে ক্লাবটির প্রথম কোচ হিসেবে ১২২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়েছেন।
এমন স্মরণীয় রেকর্ডের পর ৬৫ বছর বয়সি কোচ বলেছেন, ‘অনেক শিরোপা! খুব ভালো লাগছে। আমি খুব আনন্দিত। এটি দারুণ সাফল্য। আমরা সবাই খুব খুশি। এটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ২০২৪ সালটা আমরা অসাধারণভাবে শেষ করলাম...এর চেয়ে বেশি কিছু করা সম্ভব ছিল না। তবে রিয়াল মাদ্রিদে সবসময়ই যেটি হয় আরকি, এখন ২০২৫ সাল নিয়ে ভাবতে হবে।’
টানা ১৪ বছর রিয়ালের কোচ হিসেবে ১৪টি শিরোপা জিতেছিলেন ক্লাবটির সাবেক মিডফিল্ডার মুনোজ। এতদিন তার সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ড ছিল আনচেলত্তির। এবার সেই রেকর্ড তিনি সম্পূর্ণ এককভাবে দখল করলেন।
সময়ের আলো/আরএস/