প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:২১ পিএম (ভিজিট : ১০৮)

দিনাজপুরের খানসামায় শয়ন কক্ষ থেকে মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তবে গলায় ফাঁসের কারণ জানতে পারেনি তারা। এছাড়াও পার্বতীপুরে কাঁঠাল গাছ থেকে একজন গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
খানসামা থানার ইনচার্জ নাজমুল কাদের হক জানান, বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে খানসামার পাকেরহাটের আরাজী জুগীরঘোপা গ্রামে শয়ন কক্ষের মধ্যে পাশাপাশি ঝুলছিল মা এবং তার ৬ বছর বয়সি মেয়ের লাশ।
নিহত গৃহবধূ সুজাতা রানী রায় (২৪) ভুক্ত রায়ের স্ত্রী। দম্পত্তির ৬ বছর বয়সি শিশু কন্যার নাম মেয়ে নীলাদ্রী রায় (৬)।
মর্মান্তিক ওই ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গলায় ফাঁসের প্রকৃত কারণ জানতে পারেননি তারা। মা এবং শিশু কন্যার করুন পরিণতির ঘটনা জানতে পেরে জামাইয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়ে কিছু ভাঙচুর করেছে মেয়েপক্ষের স্বজনরা। এসময় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে জামাই ভুক্ত রায়। মা-মেয়ের গলায় ফাঁসের পেছনের ঘটনা জানতে তদন্ত চালাচ্ছেন পুলিশ।
এদিকে, পার্বতীপুরে বাড়ির পাশে কাঁঠাল গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় অঞ্জলী রানী দাস নামে একজন গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত অঞ্জলী রানী দাস (৫০) তাজনগর সেনপাড়ার বিকাশ চন্দ্রের স্ত্রী।
পাবর্তীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক দীনেশ চন্দ্র বর্মন জানান, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক অশান্তিতে ভুগছিল অঞ্জলী রানী দাস। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে বাড়ির পাশে কাঁঠাল গাছে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে সে। রাত সাড়ে ৮টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
সময়ের আলো/আরআই