প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:২০ এএম (ভিজিট : ৫০)
কিংস টাউনের অ্যারন্স ভ্যালে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের পর আত্মবিশ্বাসতা বেড়ে যায় বাংলাদেশের। বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে দেশকে জয় উপহার দিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিতই ছিলেন ক্রিকেটাররা। ভাসছিলেন অভিনন্দনের জোয়ারে, তাতে যেন সিরিজ জেতার ক্ষুধাটা আরও বেড়ে যায় দলের।
তবে বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স হতাশ করতে থাকে। দশ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ রানের আগেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। এমন পরিস্থিতিতে আবারও দলের ত্রাণকর্তা হয়ে দাঁড়ান শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
দীর্ঘ এক বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে প্রথম ম্যাচে খেলেন ২৭ রানের মহামূল্যবান ইনিংস। সেদিন দলের জয়ে তার ওই ক্যামিও ইনিংসটাই ভাইটাল হয়ে দাঁড়ায় শেষ পর্যন্ত। দ্বিতীয় ম্যাচেও করলেন তেমন কিছু।
দলের ৭২ রানের মাথায় শেখ মেহেদী হাসানের বিদায়ের পর ১৭ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস। তাতে ৭ উইকেটে ১২৯ রান করে সফরকারীরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের জন্য ১৩০ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়েও অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্স করে বাংলাদেশের বোলাররা। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেন্থ ও সময়মতো ব্রেকথ্রু এনে দিয়ে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত জয় এনে দেয়। ফলে ৯ বল বাকি থাকতে ১০২ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখায় তার হাতেই ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
পুরস্কার নিতে এসে শামীম জানান এটি বিজয়ের মাসে দেশবাসীর জন্য বড় একটি উপহার, ‘বাংলাদেশের জন্য অসাধারণ একটি সিরিজ জয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো একটি দল যারা টি-টোয়েন্টিতে কত শক্তিশালী। সেটি যে কন্ডিশন কিংবা পিচেই খেলা হোক। পাশাপাশি বিজয়ের মাসে এটি আমাদের দেশবাসীর জন্যও বড় একটি উপহার।’
নিজের খেলার ধরন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি খুব খুশি। দীর্ঘদিন পর ফিরে ভালো খেললাম। আমার হচ্ছে ফিনিশারের ভূমিকা এবং আমার ভূমিকা হচ্ছে বল মারা। গত কয়েক মাসে অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছি। দল যে রকমই থাকুক, আমি খেলতে পারলে দল ওপরের দিকে যাবে। আমি ইতিবাচক খেলার চেষ্টা করি।’
সময়ের আলো/আরএস/