গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের আহমেদ ও মাওলানা সাদ কান্দলভি অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক। বুধবার ভোরের দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ।
সাদ অনুসারী মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম দাবি করেন, ‘আমাদের তিনজন সাথী নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। আহতের সঠিক সংখ্যা পরে জানানো হবে।’ অপরদিকে জুবায়ের অনুসারী মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান দাবি করেন, ‘তাদের তিনজন সাথী মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৫ শতাধিক।’
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন-কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৭০), ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল হোসেন (৬০), মাওলানা সাদের অনুসারী বগুড়া জেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ তাইজুল ইসলাম (৬৫)। নিহত ব্যক্তিরা সবাই তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ী নেজাম) সাথী বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন-আ. রউফ (৫৫), মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪), উকিল মিয়া (৫৮), পান্ত (৫৫), খোরশেদ আলম (৫০), বেলাল (৩৪), আনোয়ার (৫০), আবু বক্কর (৫৯), আরিফুল ইসলাম (৫০), আনোয়ার (২৬), আনোয়ার (৭৬), ফোরকান আহমেদ (৩৫), আ. রউফ (৫৫) মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪)। ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আহতরা হলেন-ফয়সাল (১৮), অজ্ঞাত (৬০), নুর ইসলাম (৪২), অজ্ঞাত (৫২), খোরশেদ আলম (৫০), আলাউদ্দিন (৩৫), সাদ (২০), সালাউদ্দিন (৫০), আলম (৫০), আবদুল্লাহ (৫০), ফোরকান (২৫), নুরুল হাকিম (৩০), মো. সাইফুল (৩৮), আশরাফ (৩৫), রিশাদ (৩০), আলী হোসেন (৩৫), আ. বাতেন (৬০), ফয়সাল (১৯), আবদুল্লাহ (২১), মাহমুদুল হাসান (৩৫), সাঈদ (৪০), আবু হানিফ (৩৫), ইউসুফ (২৮), আনোয়ার (৫০), খলিলুর রহমান (৪৩), অজ্ঞাত (৬০), সালাউদ্দিন (৫৫), আবদুল্লাহ (৬০), কামরুজ্জামান (৪৫), সাদ (২০), অজ্ঞাত (৫০), অজ্ঞাত (৫০), অজ্ঞাত (৫০), সালাউদ্দিন (৬৫)।
ঢামেকে দুই গ্রুপের হাতাহাতি : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, বুধবার ভোরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দুপুর পর্যন্ত আহত ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে বিল্লাল হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
ওই সংঘর্ষের রেশে ঢামেক হাসপাতালের ভেতরে ও সামনে দফায় দফায় আবারও দুই গ্রুপের অনুসারীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর ১৮ ইস্ট বেঙ্গলের ক্যাপ্টেন সাদমান বলেন, ‘সকালে হাসপাতালে জুবায়েরপন্থি ও সাদপন্থির অনুসারীদের মধ্যে হাসপাতালেও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। খবর শুনে এখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরে দুই পক্ষকে হাসপাতালের ভেতর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ইজতেমা ময়দানে জমায়েত নিষিদ্ধ : সংঘর্ষের ঘটনার পর গত বুধবার দুপুরে এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি)। জিএমপি কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান স্বাক্ষরিত ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকায় জনসাধারণের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হলো। এ সময় দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একত্রে ঘোরাফেরা, জমায়েত এবং কোনো মিছিল-সমাবেশ করতে পারবে না। এতে আরও বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার সময় কোনো প্রকার অস্ত্র, ছুরি, লাঠি, বিস্ফোরক দ্রব্য বা এ জাতীয় কোনো পদার্থ বহন করা যাবে না। এ ছাড়া কোনো প্রকার লাউড স্পিকার বা এ জাতীয় কোনো যন্ত্র দিয়ে উচ্চস্বরে শব্দ করতে পারবে না। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৮ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর ২টা থেকে কামারপাড়া, আবদুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর থেকে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যও মোতায়েন করা হয়।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, ‘তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় টঙ্গীতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’
ডিএমপি ও জিএমপির এই ঘোষণার পর সাদপন্থিরা বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ছেড়ে দেন। বেলা সাড়ে ৩টার পর থেকে একে একে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে থাকেন। আধাঘণ্টার মধ্যে ইজতেমার পুরো মাঠ ফাঁকা হয়েছে যায়। এরপর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পাহারায় থাকেন।
সংঘর্ষের সূত্রপাত যেভাবে : স্থানীরা জানায়, বিশ্ব ইজতেমার আগে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদ অনুসারীরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। সাদপন্থিরা যেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন সে জন্য আগে থেকেই ময়দানে অবস্থান করছিলেন জুবায়েরপন্থিরা। মঙ্গলবার রাত ৩টার পর মাওলানা সাদ অনুসারী শত শত মুসল্লি কামারপাড়া ব্রিজ পার হয়ে ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের গেট দিয়ে ময়দানে প্রবেশ করেন। এ সময় ইজতেমা ময়দানের ফটকে জুবায়ের অনুসারীরা পাহারায় থাকায় তাদের মারধর করে ফটক খুলে ময়দানে প্রবেশ করেন সাদপন্থিরা। বুধবার ভোরের দিকে ময়দানের বিভিন্ন স্থানে ঘুমিয়ে থাকা জুবায়েরপন্থি মুসল্লিদের ওপর হামলা চালান মাওলানা সাদের অনুসারীরা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কিছু মুসল্লি আহত হন। তাদের উদ্ধার করে টঙ্গী শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বুধবার সকাল থেকে বিদেশি নিবাসের কাছে সাদ সমর্থিত মুসল্লিরা অবস্থান করেন। তারা মূলত এসেছেন পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমায় অংশ নিতে। তাদের হাতে লম্বা বাঁশের লাঠি ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় জুবায়েরপন্থিরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে ময়দানে অবস্থানরত সাদ সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে বেরিয়ে এসে জুবায়েরপন্থিদের ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
তাবলিগ জামাতের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, রাত ৩টার দিকে সাদপন্থিরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় মাঠের ভেতর থেকে জুবায়েরপন্থিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে সাদপন্থিরাও পাল্টা হামলা চালায়। একপর্যায়ে সাদপন্থিরা মাঠে প্রবেশ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। পরে সাদপন্থিদের একজন মুরুব্বি মুয়াজ বিন নূর এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমরা এখন ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণে আছি। জুবায়েরপন্থিদের আক্রমণে আমাদের তিন ভাই শহিদ হয়েছেন। ময়দানে অনেক জুবায়েরপন্থি চাকু ও ছোড়াসহ আটক হয়েছেন।’
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাদ অনুসারীরা সংবাদ সম্মেলন করে জুবায়ের অনুসারীদের উসকানিতে সংঘর্ষ হয়েছে বলে দাবি করেছেন। বুধবার ইজতেমা ময়দানে সংবাদ সম্মেলনে সাদ অনুসারী মুয়াজ বিন নূর বলেন, ‘সারা দেশ থেকে আমাদের সাথীরা ইজতেমা ময়দানের তুরাগ নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থান নেয়। মঙ্গলবার রাত ২টার পর ইজতেমা ময়দান থেকে জুবায়ের অনুসারীরা মশাল হাতে নিয়ে আমাদের সাথীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এরপর জুবায়েরপন্থিরা ময়দান ছেড়ে গেলে আমাদের সাথীরা ময়দানে প্রবেশ করে এক লাখ সাথী ময়দানের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়। সংঘর্ষে হতাহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি থাকায় সঠিক সংখ্যা বলতে সময় লাগবে। তিনি আরও বলেন, সরকার আমাদের দিয়াবাড়ী মাঠে জোড় ইজতেমা করতে বলেছিল। আমরা সেখানে করতে পারব না কারণ লোকসমাগম সংকুলান হবে না। তাই সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা ছিল। এই আলোচনায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা ময়দানে আসতাম। কিন্তু রাতে জুবায়েরপন্থিদের উসকানিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে ময়দান আমাদের কাছে চলে আসে।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিনিয়র নার্স হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘এ পর্যন্ত তিনজন নিহত ও অসংখ্য লোক আহত হয়েছেন। আহতরা হাসপাতালে আসছে।’
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও ইজতেমা ময়দানে আশপাশে মোতায়েন রয়েছে।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-টঙ্গী জোন) এন এম নাসিরুদ্দিন বলেন, ‘ইজতেমা ময়দানের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। এখন এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত হয়েছি।’
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষ মাওলানা জুবায়েরপন্থি ও সাদপন্থিদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা মাঠে হামলা ও সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো অবকাশ নেই। এ ঘটনায় মামলা হবে। মামলার পর জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মো. মামুনুল হক দাবি করেন, ‘বিশ্ব ইজতেমায় হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছেন চারজন। এটা সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনা নয়। সাদপন্থিরা হামলা করে চারজনকে হত্যা করেছে।’
মহাসড়ক অবরোধ করে জুবায়েরপন্থিদের বিক্ষোভ : বুধবার সকাল ১০টার দিকে জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মুলাইদের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখল নিয়ে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থি অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার বিচার ও ময়দান জুবায়েরপন্থিদের বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে জুবায়েরপন্থি অনুসারীরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টার মহাসড়ক অবরোধে যান চলাচল বন্ধ থাকায় মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়। পরে বেলা পৌনে ১টার দিকে মহাসড়ক থেকে সরে যায় তারা।
দুই পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জামায়াতের : বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জামায়াত ইসলামীর অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আজ ভোর রাতে তুরাগ তীরে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে তাবলিগ জামায়াতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন মুসল্লির ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। মহান আল্লাহর দ্বীনের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সবর করার এবং শান্ত থাকার জন্য আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাই।’
সময়ের আলো/আরএস/