ই-পেপার বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ইভিএম সংরক্ষণে ওয়্যারহাউস নির্মাণ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন চায় ইসি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৪১ এএম  (ভিজিট : ৮২)
ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংরক্ষণে ওয়্যারহাউস নির্মাণের জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন সংস্থাটির সচিব আখতার আহমেদ।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ওয়্যারহাউস নির্মাণের জমি অধিগ্রহণের কার্যক্রমের পাশাপাশি বিদ্যমান ভবনগুলো সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিতে হবে। এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রতিবেদন চলতি মাসের মধ্যে কমিশনের নির্ধারিত শাখায় দিতে হবে।

জানা গেছে, বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহৃত ইভিএম সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মাঠ কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে রাখা আছে। ফলে মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে প্রকল্পের মেয়াদও শেষ। তাই এগুলো সংরক্ষণের উপায় খুঁজছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে ১০ অঞ্চলে ১০টি ওয়্যারহাউস নির্মাণের জন্য খাস জমি খুঁজছে কমিশন। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এক-এগারো সরকারের সময়কার ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন দেশের ভোট ব্যবস্থায় ইভিএমের ব্যবহার শুরু করে। সে সময় তারা বুয়েট থেকে ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে মেশিন তৈরি করে নেয়। ওই কমিশনের ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনও ভোট যন্ত্রটি ব্যবহার করে। তবে ২০১৫ সালে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে একটি মেশিন অচল হয়ে পড়ায় তা আর ব্যবহার উপযোগী করতে পারেনি রকিব কমিশন।  

পরবর্তীতে তারা বুয়েটের তৈরি স্বল্প মূল্যের ওই মেশিনগুলো পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। এবং উন্নত মানের ইভিএম তৈরির পরিকল্পনা রেখে যায়। ২০১৭ সালে কেএম নূরুল হুদার কমিশন এসে বুয়েটের তৈরি ইভিএমের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি দামে মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) কাছ থেকে উন্নতমানের ইভিএম তৈরি করে নেন তারা। এতে মেশিনপ্রতি ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মতো। হাতে নেওয়া হয় ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্প। সেই প্রকল্প থেকে দেড় লাখ ইভিএম কেনে নির্বাচন কমিশন। প্রকল্পের সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের ব্যবস্থা না থাকায় সেই উন্নত মানে ইভিএম মেয়াদ ১০ বছর হলেও পাঁচ বছর যেতে না যেতেই অকেজো হওয়া শুরু করে। এরপর সম্প্রতি পদত্যাগী সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা চাইলে সরকার তা নাকচ করে দেয়।

সম্প্রতি টাকা ছাড় করা ছাড়া কেবল প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে বললে তাও নাকচ করে দেয় পরিকল্পনা কমিশন।

সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close