প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৬ এএম (ভিজিট : ১৩৬)
অবসরের সিদ্ধান্তটা নিয়ে রেখেছিলেন আগেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পার্থ টেস্টেই ঘোষণাটা আসতে পারত। কিন্তু সেই ঘোষণায় বাধা হয়ে দাঁড়াল অধিনায়ক রোহিত শর্মার অনুরোধ। তাতে এক টেস্ট বেশি খেলার অপেক্ষা বাড়ল রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। অবশেষে সেই অপেক্ষাও ফুরিয়েছে।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ব্রিসবেন টেস্টে ভারতের ড্রয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ডানহাতি কিংবদন্তি অফস্পিনার। তাতে ভারতের জার্সিতে অশ্বিনের ১৪ বছরের বর্ণিল ক্যারিয়ারের ইতি ঘটল।
অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১১ শব্দে সাজানো একটি আবেগঘন পোস্ট করেন অশ্বিন। যেখানে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের কিছু সুন্দর মুহূর্তকে জোড়া দিয়ে বানানো একটি ভিডিও যুক্ত করা হয়। ওই পোস্টের ক্যাপশনে অশ্বিন লিখেছেন, ‘যতটুকু ভালোবাসা আমরা দিই, সেই ভালোবাসাই আমরা ফিরে পাই।’
৩৮ বছর বয়সি অশ্বিন ভারতের হয়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২৮৭ ম্যাচে মাঠে নেমে ৭৬৫টি উইকেট শিকার করেছেন। এমন রেকর্ড তাকে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বানিয়েছে। ব্যাট হাতেও দারুণ অবদান রেখেছেন। করেছেন ৪৩৯৪ রান। এই রান সংগ্রহের পথে করেছেন ৬টি টেস্ট সেঞ্চুরি। আইসিসির বর্তমান টেস্ট অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়েও আছেন তৃতীয় স্থানে। অবসরের আগে সাদা পোশাকে খেলা বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (৫৩৭)। তা ছাড়া আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে শততম উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া প্রথম বোলারও অশ্বিন। ক্যারিয়ারের শেষবেলাও সেই দাপট ধরে রেখেছিলেন। বাইশ গজকে বিদায় বলেছেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষ উইকেট শিকারি থেকে (১৯৫)।
২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল অশ্বিনের। এরপর ২০১১ সালে ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২০১৬ সালে এশিয়া কাপ জিতেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি খ্যাতি অর্জন করেছেন টেস্টে ক্রিকেটেই।
অবসরের ঘোষণা দিতে গিয়ে অশ্বিন বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে ক্রিকেটার হিসেবে (দলকে) কিছু দেওয়ার খুব সামান্যই বাকি আছে। যা অবশিষ্ট আছে, তা ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটে দেখাতে চাই।’ দীর্ঘ এই পথচলার সঙ্গী সতীর্থদের বিশেষ ধন্যবাদ দিতেও ভুলেননি, ‘এই মুহূর্তে সবার নাম মনে করতে পারছি না। অবশ্যই সব কোচ আমার এই যাত্রার অংশ ছিলেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে রোহিত, বিরাট (কোহলি), অজিঙ্কা (রাহানে) ও (চেতেশ্বর) পূজারা। ওরা আমার বলে (প্রতিপক্ষ) ব্যাটসম্যানদের কাছাকাছি ফিল্ডিং করেছে। ওদের কারণেই আমি এতগুলো উইকেট নিতে পেরেছি।’
সময়ের আলো/আরএস/