ই-পেপার শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৩ এএম  (ভিজিট : ৯৮)
বাংলাদেশের সংবিধানে ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা হয়। ষষ্ঠ সংসদের অধিবেশন ১৯৯৬ সালের ১৯ মার্চ শুরু হয়। এই সংসদে একটি আইনও পাস হয়, যেটি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে যুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী। এই সরকারের মেয়াদ ছিল মাত্র বারো দিন। এই বারো দিনে সংবিধান সংশোধন করে ৩০ মার্চ সরকার ভেঙে দেন খালেদা জিয়া। 

ওই দিন থেকে ক্ষমতায় আসে বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এর আগে যদিও ১৯৯০ সালে এইচএম এরশাদের সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের শাসনভার কিছুদিন এক ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছিল। কিন্তু বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন ওই সরকার কোনো সাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল না, যেটি ছিল বিচারপতি হাবিবুর রহমানের সরকার।

বিচারপতি হাবিবুর রহমানের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সরকার। পরে ২০০১ সালের নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়। ওই নির্বাচনে জয় পায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোট। দুটি নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য বলে দেশে-বিদেশে স্বীকৃতি পেয়েছিল। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৩ বছর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ৫৪টি ক্ষেত্রে সংযোজন, পরিমার্জন ও প্রতিস্থাপন আনা হয়েছিল। এ আইনের ২০ ও ২১ ধারার মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়।   

বুধবার সময়ের আলো থেকে জানা যায়, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের দুটি ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান পুনর্বহাল এবং আইনের আরও চারটি ধারা বাতিল করেছেন আদালত। 

পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা বাতিল ঘোষণা করে রায়ে আদালত বলেছেন, ধারা দুটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে। সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদের পর ৭ক ও ৭খ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যা পরিষ্কারভাবে সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যেখানে জনগণের ইচ্ছা, সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্বসহ স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। ৭ক ও ৭খ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বাতিল ঘোষণা করা হলো।

উচ্চ আদালতের এ রায়ে জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ রায়ের মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসার ক্ষেত্রে বড় বাধা দূর হয়েছে। আমরা মনে করি, এ রায়ের ফলে গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তীতে নতুন বাংলাদেশের জনপ্রত্যাশা পূরণে বড় অগ্রগতি হয়েছে। এখন বর্তমান সরকারের দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে অতিদ্রুত এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার এদেশে প্রতিষ্ঠিত করে একটি নির্বাচন দেওয়া, যে নির্বাচনে জনগণ তাদের ইচ্ছেমতো স্বাধীনভাবে ভোট দিয়ে একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। সেই সরকার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close