ই-পেপার বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

৩ বিমানবন্দরে ৮৩ ক্রিটিক্যাল পয়েন্ট
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:২৭ এএম  (ভিজিট : ১৬৪)
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরে ৮৩টি ক্রিটিক্যাল পয়েন্ট শনাক্ত করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এসব স্থান বাংলাদেশ জরিপ অধিদফতরের মাধ্যমে জরিপ করে সমাধানে কাজ করছে বেবিচক।

সম্প্রতি তিন বিমান বন্দরের ৬০টি ক্রিটিক্যাল পয়েন্টের ডএঝ-৮৪ Coordinates এবং উচ্চতা নির্ণয়ের জন্য বাংলাদেশ জরিপ অধিদফতরকে চিঠি দেয় বেবিচক। পরবর্তী সময়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ২৫টি, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১২টি এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরের ১৩টি ক্রিটিক্যাল পয়েন্টসহ সর্বমোট ৫০টি ক্রিটিক্যাল পয়েন্টের তালিকা পাঠানো হয়। জরিপ কাজ চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরের প্রয়োজনে আরও কিছু ক্রিটিক্যাল পয়েন্টের সন্ধান পায় বেবিচকের এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। চলতি মাসে জরিপ অধিদফতরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৭টি, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২টি এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরে ১৬টিসহ মোট ৩৫টি অতিরিক্ত ক্রিটিক্যাল পয়েন্টের ডএঝ-৮৪ 
Coordinates ও উচ্চতা নির্ণয়ের জন্য তালিকা পাঠায় বেবিচক।

চিঠিতে বলা হয়, ক্রিটিক্যাল পয়েন্ট নির্ণয়ের চূড়ান্ত তালিকায় অতিরিক্ত পয়েন্টসসহ সব স্থানের তথ্য রাখতে হবে। ইতিমধ্যে ৬০টি স্থান জরিপ করার জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ৮৩টি স্থানের জরিপ সম্পন্ন করা হয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের ২টি রানওয়ের জরিপ করা প্রয়োজন হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উড়োজাহাজ অবতরণ ও উড্ডয়নের ক্ষেত্রে বিমানবন্দর এলাকা ঝুঁকিমুক্ত রাখা বাধ্যতামূলক। এ জন্য আইকাওয়ের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সব বিমানবন্দর এসব নির্দেশনা মেনে চলে। ক্রিটিক্যাল পয়েন্টস ও বিমানবন্দর এলাকায় নিয়মের বাইরে গিয়ে যেসব ভবনের উচ্চতা বাড়ানো হয়েছে সেগুলো অপসারণ করতেই হবে। না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ইতিমধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় বেশ কিছু ভবন অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেবিচক বলছে, উড়োজাহাজ যেন খুব সহজে পাইলট উড্ডয়ন এবং অবতরণ করাতে পারেন, সেদিকে বেবিচকের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ রয়েছে। বেবিচক ছাড়াও পাইলটরা উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অস্বস্তি ফিল করলে তা বেবিচককে অবহিত করেন। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ছাড়া বেবিচকের সংশ্লিষ্ট দফতর এটি তদারকি করে। এসব স্থান জরিপ করার পরে এগুলো সিস্টেমে সেট করা হয়, তা দেখে পাইলটরা উড়োজাহাজ অপারেশন করেন। গত সরকারের সময়ে কেউ কেউ প্রভাব খাটিয়ে বা অনৈতিকভাবে শাহজালাল এলাকায় সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করেছেন, যা বিমানবন্দর এলাকার জন্য প্রযোজ্য নয়। এগুলো অপসারণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বেবিচকের এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. শামসুল হক সময়ের আলোকে বলেন, ক্রিটিক্যাল পয়েন্টের ডএঝ-৮৪ Coordinates নির্ণয়ের সঙ্গে উচ্চতা নির্ণয়েরও প্রয়োজন হয়। এটি নির্ণয় করে আমাদের এআইপিতে পাবলিশ করা হয়। এটি পাইলটদের প্রয়োজন হয়। জরিপ করা হয়ে গেছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কয়েক বছর পরপর করতে হয়। এটি আইকাওয়ের নিয়ম। যেসব পয়েন্ট নতুন করে সংযোজন হয়, সেগুলো জরিপ করাতে হয়। তিনি বলেন, এগুলোর নাম ‘ক্রিটিক্যাল পয়েন্টস’ দেওয়া হলেও আসলে ক্রিটিক্যাল নয়। কেন এমন নাম দেওয়া হয়েছে জানি না। এটি প্রতীকী নাম। জরিপ করার পর তথ্যগুলো সিস্টেমে দেওয়া থাকে, সে অনুযায়ী পাইলট উড়োজাহাজ অপারেট করেন। এটি গুরুতর বিষয় নয়।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close