ই-পেপার শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাংঘর্ষিক নয়
প্রকাশ: বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:২০ এএম  (ভিজিট : ১৪০)
হাইকোর্টের রায়ে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসার পথ খুলেছে, তার সঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারব্যবস্থা ‘সাংবিধানিকভাবে সাংঘর্ষিক হবে না’ বলেই মনে করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

এক যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সংবিধানের যে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপ করা হয়েছিল, মঙ্গলবার তার কিছু অংশ বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায় প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়।

কারণ আজকের (গতকাল) রায়ের মধ্যে বলেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাংবিধানিকভাবেই বৈধ সরকার। ১০৬ অনুচ্ছেদের প্রেক্ষাপটে মতামত নিয়ে করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ফুল বেঞ্চ মতামত দিয়েছেন, এটি সাংবিধানিক ওপিনিয়ন। আপিল বিভাগ সাংবিধানিক মতামতে বলেছেন রাষ্ট্রপতি ওনাদের কাছে বলেছেন, সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলে গেছেন, অন্য কাউকে ডেকে সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে আইনি কোনো বাধা আছে কি না। সুপ্রিম কোর্ট গোটা প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে বলেছেন এটা বৈধ ও সাংবিধানিক সরকার হবে। এটার সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সাংঘর্ষিক প্রভিশন নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে ‘অন্তর্বর্তী সরকারই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামকরণ হবে’ মত তুলে ধরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রিনেমড হবে, যেমন আমি বলি জেলা ও দায়রা জজের নাম শুনেছেন। একই ব্যক্তি যখন সিভিল মামলা করেন, তখন তাকে বলা হয় জেলা জজ। ওই একই ব্যক্তি যখন ক্রিমিনাল মামলা পরিচালনা করেন, তখন তাকে জেলা জজ বলা যায় না, তখন তিনি দায়রা জজ। এই ব্যক্তিরাই যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সিস্টেমে চলে যাবেন ওনারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হবেন। এটাতে সাংবিধানিক সাংঘর্ষিকের কোনো জায়গা নেই।

আরেক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি বলেন, আপিল বিভাগে যে রিভিউ পেন্ডিং আছে তা বাইপাস করেই এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কেন আছে, তত্ত্বাবধায়কের ত্রয়োদশ সংশোধনীতে দুটি রেশিও, এক তত্ত্বাবধায়ক সরকার বৈধ নাকি অবৈধ। এই পার্টে চারজন বলছেন অবৈধ, তিনজন বললেন বৈধ। দ্বিতীয় পার্টে সবাই বললেন, পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে। এই যে পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে, তার আগেই পঞ্চদশ সংশোধনী চলে এসেছে। তা হলে ধরে নেওয়া হবে ওই জাজমেন্ট রেশিও এখনও অপারেটিভ আছে, কার্যকর আছে। তা হলে কমপক্ষে আগামী দুটি নির্বাচন তো আপিল বিভাগের অ্যাটেনশন লাগে না।

তিনি বলেন, জ্ঞানপাপী একজন জাস্টিজ ছিলেন খায়রুল হক। উনি মূল রায় থেকে ডিভিয়েন করে (পথভ্রষ্ট) ১৭ মাস পর রায় রিলিজের সময় সেখানে বলেছেন, পরবর্তী দুটি নির্বাচন কোন ফর্মে হবে তা সংসদে ঠিক হবে। ওনাদের থেকে দলছুট হয়ে সিনহা বাবু বলেছেন (পরবর্তী সময়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা) আগামী দুটি নির্বাচনই হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। খাইরুল হকের সঙ্গে তাল মেলালেন... ওই যে আরেকটার নাম কী... জুডিশিয়ারিকে যে ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন। এই যে... তখন একজন বলছেন, মানিক সাহেব, এরপর অ্যাটর্নি বলেন না না, জুডিশিয়ারি মানিক যতটুকু ধ্বংস করেছেন, তার চেয়ে জুডিশিয়ারি ধ্বংসের পেছনে দায়ী সৈয়দ মাহমুদ হোসেন (সাবেক প্রধান বিচারপতি) নামে একজন জাস্টিজ ছিলেন। এদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত।

সময়ের আলো/আরএস/ 






https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close