প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:১৭ পিএম আপডেট: ১৮.১২.২০২৪ ৭:৩৭ এএম (ভিজিট : ২০০)
পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, এটি জনগণের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল। যে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সময়ের আলোকে বলেন, এই রায়ে জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা পূরণ হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছিল না বলেই শেখ হাসিনা এতোটা ফ্যাসিস্ট হতে পারছে। জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারেনি। এই অর্জন হাজারো রক্তের বিনিময়ে এসেছে। এটা ধরে রাখতে হবে। যে সরকারই আসুক; তাদেরকে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সুসংহত করতে হবে। এটা রেখেই চলতে হবে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন সুস্ঠু হয় তা একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে। ৯০ ভাগ জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ভোট নিয়ে এখন তাদের আস্থার জায়গা ফিরে আসবে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
পট পরিবর্তের পর গত অক্টোবরে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিউ আবেদন করেন। ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের ওই রায় দিয়েছিলেন।
বিএনপির দাবি, ১৯৯১ সালে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীন পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়। বিএনপি সরকার জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে। পরপর তিনটি জাতীয় নির্বাচন যথাক্রমে ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়। গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে।