প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:১৫ এএম (ভিজিট : ৯৬)
রমজানে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য সহনীয় রাখার লক্ষ্যে ভোজ্য তেলে মূসক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সম্পূর্ণ এ কর অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা, সয়াবিন ও পাম অয়েল আমদানিতে বিদ্যমান সব আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি এবং অগ্রিম আয়কর অব্যাহতি দেয় এনবিআর। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানিয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা, সয়াবিন ও পাম ওয়েল বিক্রয়ের ওপর স্থানীয় পর্যায়ে প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এসব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে প্রদেয় মূসক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসক ছাড়া অন্য কোনো শুল্ককরাদি অবশিষ্ট নেই।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর ও ১৯ নভেম্বর জারি করা শুল্ককর অব্যাহতির প্রজ্ঞাপন দুটি সয়াবিন ও পাম ওয়েলের ক্ষেত্রে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রযোজ্য ছিল। ভোজ্য তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং ভোক্তাসাধারণের জন্য ভোজ্য তেলের মূল্য সহনীয় রাখার উদ্দেশ্যে সয়াবিন ও পামতেলের পাশাপাশি এবার অপরিশোধিত ও পরিশোধিত সানফ্লাওয়ার তেল ও ক্যানোলা তেলের আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্ককর ও মূসক কমানো হলো। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও পামতেলের ঊর্ধ্বমুখী দর বিবেচনায় নিয়ে রমজান মাসে পণ্যটির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে নতুন প্রজ্ঞাপন তিনটির মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়েছে। সানফ্লাওয়ার তেল ও ক্যানোলা তেলের কাস্টমস ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি, আগাম কর ও অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এবং মূল্য সংযোজন কর কমানোর ফলে এসব তেলের আমদানি ব্যয় লিটারপ্রতি ৪০-৫০ টাকা কমবে। এসব ব্যবস্থার ফলে ভোজ্য তেলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে ও এতে বাজারমূল্য সর্বসাধারণের জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা যাবে বলে আশা করছে এনবিআর।
সময়ের আলো/জেডআই