ই-পেপার সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

চব্বিশের অভ্যুত্থানও প্রতারণার দিকে যাচ্ছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
প্রকাশ: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:০৬ পিএম  (ভিজিট : ১৯৪)
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে সবকিছু কেন্দ্রীয়করণ করা হয়েছে। সংবিধান সে সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু আমরা তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারিনি। ফলে ১৯৪৭ ও ১৯৭১ এর মতো ২০২৪ এর অভ্যত্থানও প্রতারণার দিকে যাচ্ছে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির আয়োজিত ‘সাতচল্লিশ-একাত্তর-চব্বিশ: আমাদের বিজয়ের পথপরিক্রমা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্যা গালিব, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আলী আহসান জুনায়েদ প্রমুখ। আলোচনা সভায় বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির আহবায়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তারা আসেননি।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বারবার প্রতারিত হয়েছি বলেই আমাদের চব্বিশের অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু জাতি হিসেবে আমাদের লজ্জা নেই। যে সংবিধান রাজনীতিবিদদের রাজনীতি করার অধিকার কেড়ে নিয়েছে, ৫ আগস্ট পরে কিছু কিছু রাজনীতিবিদদের সেই সংবিধানের প্রতি বিশাল মমত্ববোধ তৈরি হয়েছে। এটা জাতি হিসেবে আবার আমাদেরকে প্রতারণার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও নেই, যেখানে গণভবনের ‘মালিক’ এবং বায়তুল মোকাররমের খতিব একসাথে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। পতিতালয় থেকে সচিবালয়; জাতি হিসেবে আমরা কী পরিমাণ প্রতারিত হয়েছি দেখুন। বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সমস্যা, কোনো শিক্ষক বাসা পেল না; সবখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সবকিছুকে এভাবে কেন্দ্রীয়করণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা সংসদ ভবনমুখী হচ্ছেন, শীঘ্রই যাবেন, মিনিস্ট্রিতে দখল করবেন; গাড়িতে পতাকা উড়বে। আমরা রক্ত দিয়েছিলাম যেন আপনাদের যাদের গাড়িতে পতাকা ওঠার যোগ্য, তারাই আসে। কিন্তু আপনারা আমাদের সাথে যে প্রতারণা করছেন, তা আমরা দেখছি। আমরা যেভাবে অতীতকে বর্তমানের কাঠগড়ায় তুলছি, একইভাবে আপনাদের বর্তমান কাজ ভবিষ্যতে অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।


হাসনাত আব্দুল্লাহ  বলেন, এখন আর বাইনারি রাজনীতি নেই। এখন কেবল একটি প্রজন্মগত সংঘাত চলছে। আমরা একটি আপোষহীন প্রজন্ম গড়ে উঠছি, আমাদের শেল্টার হচ্ছে আপোষকামী প্রজন্ম। এই দুই প্রজন্মের মধ্যে কোথায় যেন ফাটল আছে। তা জোড়া লাগানোর দায়িত্ব নিন। আপনারা দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেই একাত্তর সালের পর আবারও চব্বিশে আন্দোলন করতে হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের বিজয়কে নিজেদের বিজয় দিবস দাবি করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পোস্টের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা প্রতিবছরই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ক নিজেদের বলে এসেছে। অথচ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে এখনো কোনো গঠনমূলক কথা বলা হয়নি। অর্থাৎ আমরা ১৯৭১ সালের বিজয়কে বাংলাদেশের বলে দাবি করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের পরবর্তী ব্যর্থতা, আমরা একটা কমিউনিটি হয়ে উঠতে পারিনি। বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের স্থান নির্ণয় করতে পারিনি।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ধারণা দিয়ে বাণিজ্য করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলে কোনো ধারণা নেই। এখানে হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান নয়, বরং যারা বাংলাদেশ বিরোধী; তারাই সংখ্যালঘু।

আলোচনা সভায় জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ১৯৪৭ সালে এবং ১৯৭১ সালের পর আমাদের আকাঙ্ক্ষা ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর আমরা নিজেদের আশাকে ব্যর্থ হতে দিতে চাই না।

সময়ের আলো/এম 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close