প্রকাশ: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:৪২ পিএম (ভিজিট : ৫৮)
পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেছেন, ৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও দেশবাসী তার কোন সুফল পায়নি। বারবার এদেশের জনগণ নির্যাতিত নিপীড়িত হয়েছে। যার জন্য ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল এদেশে। শেখ হাসিনা হাজার হাজার কোটি ডলার চুরি করে পালিয়ে গিয়ে দিল্লিতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বাংলার জনগণ।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের চাঁপাবিবি মসজিদ চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি নিয়ে টেকনিক্যাল মোড় হয়ে ডিসি অফিস, আব্দুল হামিদ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ট্রাফিক মোড়ের শহীদ চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি ও টাকা পাচারের মাধ্যমে দেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বানানো হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ধ্বংস করে বিদেশে বাড়ি-গাড়ি বানিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা আরাম আয়েশে দিন কাটাচ্ছে। সেই নেতাদের কিছু কর্মীরা দেশে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। যার যার জায়গা থেকে এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
৭১ সালের শহীদদের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, জন্মভূমি ও মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য জীবন দিয়েছে সেইসব শহীদ চির অম্লান হয়ে থাকবে। তাদের আত্মত্যাগের জন্যই আমরা সুন্দর দেশ পেয়েছি। ২৪ সালে এদেশের ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেই স্বাধীনতাকে নস্যাৎ হতে দেওয়া হবে না। স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি রক্ষাও আমরা করতে পারব। কোনো শকুন চোখ রাঙাতে পারবে না। আজকে যে শহীদ চত্বরে সমাবেশ করছি আমরা এখানেও দুজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে শহীদ করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। দু:দুঃখজনক হলেও সত্য যে ওই সব খুনিদের আজও গ্রেফতার করা হয়নি। তারা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে জনগণ এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।
‘হাসিনা সরকার জামায়াতে ইসলামীর আমিরসহ কেন্দ্রীয় সব নেতাদের জুডিশিয়াল ক্লিনিংয়ের মাধ্যমে হত্যা করছে। এসব রক্তের প্রতিটি ফুটার বদলা নেওয়া হবে। যার বিনিময়ে এদেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা চালু হবে ইনশাআল্লাহ।’
পাবনা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার খানের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতে ইসলামী সাবেক আমির শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, জেলা জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির জহুরুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি আবু সালেহ আব্দুল্লাহ, এসএম সোহেল, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রব, পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল লতিফ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক রেজাউল করিম।
সময়ের আলো/আরআই