প্রকাশ: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:৩৪ এএম (ভিজিট : ১২০)
বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল ও স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন ১৬ ডিসেম্বর। বাঙালির সবচেয়ে আনন্দের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাস্ত করে বিশ্বের মানচিত্রে সৃষ্টি হয় নতুন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এক এক করে ৫৩টি বিজয় দিবস পালন করে ৫৪তম বিজয় দিবসে বাংলাদেশ। বিজয় দিবসে দেশমাতৃকার টানে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে সাতকানিয়ার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সাতকানিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারিস্তা করিম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান, আইসিটি অফিসার আনোয়ার হোসাইন, কৃষি অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, সমাজসেবা অফিসার দেলোয়ার হোসাইন, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফয়সাল আমিরসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেও শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এদিকে বিজয় দিবসে চোখ ধাঁধানো বর্ণিল সাজে সেজেছে সাতকানিয়া। বর্ণিল আলোকসজ্জায় রঙিন সাতকানিয়া যেন একখণ্ড লাল-সবুজের পতাকা।
রোববার রাতে উপজেলার স্কুল-কলেজ, অফিস ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ে লাল সবুজ আলোয় আলোকসজ্জা করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহান বিজয় দিবসকে ঘিরে শহরের সব সরকারি-বেসরকারি অফিস ও স্কুল-কলেজে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। প্রতিটি আলোকসজ্জাতেই পতাকার রঙের লাল সবুজ বাতি ব্যবহার করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থী শহীদুল ইসলাম বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের দিন, আনন্দের দিন। বিভিন্ন ভবনে রঙিন আলো যেভাবে শোভা পাচ্ছে, সেটি বিজয়েরই একটি নিদর্শন।
সময়ের আলো/এএ/