ই-পেপার সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ন্যায্য দামের অনিশ্চয়তায় শঙ্কায় কৃষক
প্রকাশ: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:২১ এএম  (ভিজিট : ৫৮)
রংপুরে ধানের বামরংপুরে ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে বরাবরের মতো এবারও শঙ্কায় রয়েছেন তারা। কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পাশাপাশি হাইব্রিড ধান উৎপাদন বেশি হওয়ায় এবং সঠিক পরিচর্যার কারণে আশানুরূপ ফলন হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে গেছে। হাইব্রিড ধান বেশি আবাদ হওয়ায় এবার জেলার চাহিদা মিটিয়ে সাড়ে তিন লাখ টনেরও বেশি আমন ধান উদ্বৃত্ত থাকবে। উদ্বৃত্ত চাল অন্য জেলার চালের চাহিদা মেটাতেও সক্ষম হবে।

এ বিষয়ে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এবার অন্যান্য জেলার চেয়ে রংপুরে আমন ধানের উৎপাদন ৯৬ শতাংশ বেশি হয়েছে। বাম্পার ফলন হওয়ায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। জেলার খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মেট্রিকটন চাল অন্য জেলার চাহিদা মেটাবে। তিনি আরও বলেন, ধান কাটা ও মাড়াইয়ের পরপরই কৃষকরা জমিতে আলুর চারা রোপণ করবেন। অনেকে বোরো ধানের চারা রোপণ করার জন্য জমি তৈরি করবেন। ফলে রংপুরে খাদ্য সংকট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। 

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, খাদ্য বিভাগ ধান কাটা ও মাড়াইয়ের পরপরই যদি কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনে তা হলে কৃষকরা একটু হলেও লাভবান হতো। কিন্তু এমনটা না হওয়ায় যারা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি তারা দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধসহ বিভিন্ন খরচ মেটাতে ধান কাটার পরই বিক্রি করতে বাধ্য হন। সে কারণে এ সময় বড় বড় ব্যবসায়ীরা কম দামে ধান কেনার আশায় ধান কেনা থেকে বিরত থাকে। ফলে তারা উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য পায় না। সরেজমিন বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে কৃষক ও বর্গাচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধানের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য দাম পাবেন কি না তা নিয়ে বরাবরের মতো এবারও শঙ্কায় আছেন স্থানীয় কৃষকরা।

তারা বলছেন, চড়া সুদে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সার, কীটনাশক কেনার পাশাপাশি সেচসহ বিঘাপ্রতি অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়েছে। 

অন্যদিকে খাদ্য বিভাগ কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান না কেনে বড় বড় ব্যবসায়ীর কাছে চাল কেনার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য এবারও পাবেন না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন। অথচ কম মূল্যে ধান কেনে ব্যবসায়ীরা চাল বানিয়ে সরকারি খাদ্য গুদামে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা নেবেন এবারও।

কৃষকদের অভিযোগ, তারা ধান বিক্রি করতে গেলে খাদ্য কর্মকর্তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে অনীহা প্রকাশ করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। শুধু তা-ই নয়, প্রতিবারই খাদ্য বিভাগ ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের নামে গল্প বানায়, কিন্তু প্রকৃত কৃষক আর বর্গাচাষিদের কাছ থেকে ধান কেনে না। কৃষি কর্মকর্তারা তালিকা করার সময় বর্গাচাষিদের নাম তালিকাভুক্ত করে না। তারা জমির মালিককে খোঁজেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, জমির মালিক নয়, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক আর বর্গাচাষিরাই মূলত ধান চাষ করেন। ফলে তাদের নাম তালিকাতেই আসে না। যার কারণে তারা ন্যায্য মূল্য কখনো পান না।

সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close