ই-পেপার সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

আজ মহান বিজয় দিবস, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে
প্রকাশ: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৬ এএম  (ভিজিট : ৫০)
আজ মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে এবং পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। আজকের এদিনে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদকে, স্মরণ করছি ২ লাখ মা-বোনকে, যাদের অসামান্য আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ। 

১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল সেটির উদয় ঘটে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। এর আগে সোয়া ২শ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংগ্রাম ও লড়াইয়ে রক্ত দিয়েছে এই বাঙালি জাতি। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনেও ছিল বাঙালিদের অবদান। কিন্তু কয়েক বছরেই বাঙালির স্বপ্নভঙ্গ হয়। যে শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে তারা ইংরেজদের বিতাড়িত করেছিল সেই একই রকম শোষণ-বঞ্চনার মুখোমুখি হয়ে পড়ে কয়েক বছরের মধ্যেই। শুরু হয় সংগ্রামের নতুন যুগ। 

পৃথিবীর প্রায় সব স্বাধীন দেশেরই একটি স্বাধীনতা দিবস রয়েছে। কিন্তু অনেক দেশেরই বিজয় দিবস নেই। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে স্বাধীনতা ঘোষণার পর সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন বাঙালি জাতিকে অনন্য ও গৌরবান্বিত করে। তাই এই অর্জন নিয়ে আমাদের আনন্দ ও শ্লাঘার কোনো সীমা নেই। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবময় ও অহংকারের দিন।

১৯৭১ সালের আগে কিংবা পরে বাঙালির জীবনে এমন মুহূর্ত আর কখনো আসেনি, যখন পুরো জাতি অভিন্ন লক্ষ্যে এতটা দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। সেদিন মানুষ কেবল দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীকে বিতাড়িত করার জন্যই যুদ্ধ করেনি, তাদের লক্ষ্য ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। বাঙালি জাতির দীর্ঘ সংগ্রামের চূড়ান্ত ফসল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষা ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন তৈরি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের যে স্বপ্ন বা আকাক্সক্ষা এতদিন বাস্তবায়ন হয়নি, তা বাস্তবায়ন করার জন্যই মানুষ বারবার লড়াই করছে। সেই লড়াইয়েরই আরেকটা পর্ব হচ্ছে ২০২৪ সালের এ গণঅভ্যুত্থান। ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান হচ্ছে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের একটা ধারাবাহিকতা। ঐতিহাসিক এসব ঘটনা পরম্পরার তাৎপর্য অনুধাবন করে এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে।

আজ বিজয়ের ৫৩তম বার্ষিকীতে প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার বিশ্লেষণ হচ্ছে সর্বত্র। আমরা মনে করি, কেবল দিবস উদযাপন নয়, এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্যও আমাদের হৃদয় ও মননে ধারণ করতে হবে। স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তুলতে সব বিভেদ ভুলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সেই ঐক্যের ভিত্তিতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো আমরা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হব-এ প্রত্যাশা সবার। সময়ের আলোর পাঠক, লেখক, শুভানুধ্যায়ীসহ সমগ্র দেশবাসীর প্রতি রইল মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close