ই-পেপার সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রতিবাদে পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন
পঞ্চগড়ের কিশোরীকে নিয়ে ভারতে মিথ্যাচার, বাবা-মার ক্ষোভ
প্রকাশ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:০৪ পিএম আপডেট: ১৫.১২.২০২৪ ১১:০৬ পিএম  (ভিজিট : ৭৪)
অবৈধপথে ভারতে প্রবেশের পর গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে বিএসএফের হাতে আটক হয় পঞ্চগড়ের কিশোরী প্রিয়ন্তী রায় প্রমি। এদিকে দেশে চলমান ইসকন ইস্যুকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে এবং দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে ভারতীয় মিডিয়া তাকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রেসব্রিফিং করেছেন পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান , গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে অবৈধপথে ভারতে প্রবেশের পর বিএসএফের হাতে আটক হয় পঞ্চগড়ের কিশোরী প্রিয়ন্তী রায় প্রমি। আর দেশে চলমান ইসকন ইস্যুতে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে এবং দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে ভারতীয় মিডিয়া প্রমিকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে। গত সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় কিশোরী প্রমি পরিবারকে না জানিয়ে তার মামাবাড়ি বেড়াতে যায়। পরে ওই দিন রাতে অবৈধ পথে ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে ১০ম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী। তার চোখের সমস্যা থাকায় ভারতে ডাক্তার দেখানোর কথা ছিল। রাতে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে ভোররাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে আটক হয় সে। এরপর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলার চপড়ামারী থানায় তাকে নিয়ে যায় বিএসএফ। এরপর প্রমির ভারতীয় এক আত্মীয় ওই থানায় গিয়ে তার পরিচয় দেন। থানা থেকে তাকে আদালতের নির্দেশে সেফহোমে নেওয়া হয়।

এদিকে প্রমির ভারতে যাওয়া নিয়ে একটি ভিডিওটি তৈরি করেছে ‘আর বাংলা’সহ ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যম। এ নিয়ে জেলাজুড়ে সমালোচনা শুরু হলে তদন্তে নামে পুলিশ।

পুলিশ সুপার বলেন, দেশের বিরুদ্ধে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। একই সঙ্গে ভারতের মিডিয়া অপপ্রচার চালিয়ে গুজব ছড়িয়ে সম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সি জানান, এ ঘটনার পর পরিচিত দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়র বানোয়াট বক্তব্য নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে প্রমির পরিবার। তবে ভারতে কীভাবে গেল প্রমির বিষয়টি জানে না তারা।

বাংলাদেশে নিরাপদে আছেন, ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। নিজের সন্তানকে নিরাপদে ফেরত পেতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এসে আবেদন করেছেন প্রমির মা-বাবা।

সময়ের আলো/আরআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close