সংবিধানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে প্রধান্য দিতে হবে : প্রফেসর আবদুর রব
প্রকাশ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৫৫ পিএম (ভিজিট : ১০৬)
‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সংবিধানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে প্রধান্য দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে “বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার” বিষয়ক এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড মুসলিম উম্মাহ এ সেমিনার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব বলেন, সারা দুনিয়াতেই সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় জনগোষ্ঠী একটি দেশ গঠন করে এবং তাদের স্বার্থের ভিত্তিতেই সে দেশের আইন ও সংবিধান রচিত হয়।
তিনি বলেন, একটি দেশের আইন ও সবিধান যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ধর্ম ও সংস্কৃতির অনুক‚লে না থাকে তবে সে দেশের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভোমত্ব রক্ষায় স্বাধীন মুসলিম দেশের উপযোগী আইন ও সংবিধান আমাদেরকে তৈরি করতে হবে।
বিদ্যমান সাংবিধানকে দলীয় মেনিফেস্টোতে পরিবর্তন করার জন্য পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারকে দোষারোপ করে ‘কারো দলীয় এজেন্ডা বা ভাষণ জাতীয় সংবিধানের অংশ হতে পারে না’ বলে মন্তব্য করেন সেমিনারের মূখ্য আলোচক ডা. ফরিদ উদ্দিন খান।
তিনি দলীয় স্বার্থে অনর্ভূক্ত করা বিভিন্ন ধারা-উপধারা সংবিধান থেকে বাদ দিয়ে এর পরিবর্তে জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধারা উপধারা সংযুক্ত করারও প্রস্তাব পেশ করেন এ সময়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন ডুয়েটের সাবেক ডিন ড. আব্দুল মান্নান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, ইতিহাস অন্বেষার সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম, মুসলিম উম্মাহ ট্রাস্ট এর সভাপতি মুফতি সাঈদ আবদুস সালাম।
রফিকুল ইসলাম রিমনের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচকবৃন্দ ১৯৭২ সালের সংবিধানকে ভারতের চাপিয়ে দেয়া সংবিধান মন্তব্য করে বলেন, প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান জারিকৃত Law and continuation Order - ১৯৭১ - ১৯৭১ মোতাবেক আমরা পাকিস্তান থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে বাংলাদেশ পেয়েছি। সুতরাং আমাদের সংবিধান হওয়া উচিত ১৯৫৬ সালের ইসলামী সংবিধান। ভারতের চাপিয়ে দেয়া ১৯৭২ সালের সংবিধান নয়।
সময়ের আরো/এএ/