প্রকাশ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:০৫ এএম (ভিজিট : ১০৬)
ঢাকার দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের লড়াই। যে লড়াইয়ে নামার আগে দেশীয়দের নিয়ে স্বস্তিতে আবাহনী শিবির। অন্যদিকে চলতি মৌসুমে মুদ্রার দুই পিঠই দেখে ফেলা মোহামেডানের ছিল জয়ে ফেরার চ্যালেঞ্জ।
ঢাকা ডার্বির সেই চ্যালেঞ্জটা ঠিকই জিতে নিয়েছে সাদাকালো শিবির। কুমিল্লায় ভাষাশহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শনিবার চির প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আলফাজ আহমেদের শিষ্যরা। এই জয়ে চলতি মৌসুমে টানা
তৃতীয়বার হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ল মোহামেডান। দিনের আরেক ম্যাচে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের জয় ৪-১ গোলে।
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিদেশি ফুটবলার ছাড়াই প্রিমিয়ার লিগে আগেই দুই ম্যাচ জিতেছে আকাশি-নীল শিবির। তবে শক্তিশালী মোহামেডানের বিপক্ষে সেই জয়ের ধারা বজায় রাখার চ্যালেঞ্জটা ধরে রাখতে পারেনি মারুফুলের দল। দুদলের মধ্যকার পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছেন বিদেশি ফুটবলারাই।
ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে মোহামেডান। ছন্দময় ফুটবল নৈপুণ্য প্রদর্শন করে আবাহনীর জালে বেশ কয়েকবার আক্রমণ শানায়। যদিও কাক্সিক্ষত গোলের জন্য প্রথমার্ধের যোগ করা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। সতীর্থের বাড়ানো বল থেকে দুর্দান্ত এক হেডে ডেডলক ভাঙেন মোহামেডান অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে। এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সাদাকালো শিবির। প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও দলটি দাপুটে খেলা উপহার দিতে থাকে। টানা আক্রমণ শানিয়ে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগও পেয়ে যায় তারা। কিন্তু আর্নেস্ট বোয়েটাংর বাঁ পায়ের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায়। ৭৪ মিনিটে সানডের পাস থেকে ফের গোল পেয়েই যাচ্ছিলেন দিয়াবাতে। কিন্তু বক্সের ভেতরে মালির স্ট্রাইকারের শটে বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলপোস্ট।
একপেশে ম্যাচটি জমে ওঠে শেষ দিকে। গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠা আবাহনী উত্তেজনা বাড়ায়। যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগও পেয়ে বসে দলটি। কিন্তু আরমান ফয়সাল সেই সুযোগ নষ্ট করলে আকাশি-নীলদের কপাল পুড়ে। অবশ্য গোলমিসের তিন মিনিট পরে ঠিকই জাল ভেদ করে আবাহনী। কিন্তু অফসাইডে কাটা পড়ে গোলটি বাতিল হলে পরাজয়ের ভাগ্যবরণ করে মারুফুলের শিষ্যরা।