ই-পেপার সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

পর্যটকের ঢল কক্সবাজারে, ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত শতভাগ বুকিং
প্রকাশ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:০৮ পিএম আপডেট: ১৪.১২.২০২৪ ৫:১৪ পিএম  (ভিজিট : ২২৯)
বছরের বিদায়ের সময় লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত কক্সবাজার। শীতের আমেজ ও  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেড়ানোর জন্য এর চেয়ে মোক্ষম সময় আর হতে পারে না! এমন সুন্দর মুহূর্তে মনকে আনন্দে আন্দোলিত করতে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে বেড়াতে আসতে লাইন পড়েছে পর্যটকদের! ইতিমধ্যে ১২ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজারে বেজায় বেড়েছে পর্যটকের পদচারণা।  ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে উপলক্ষে বর্তমানে পর্যটকের ঢল নেমেছে পর্যটনের রাণী কক্সবাজারে।

সাপ্তাহিক ছুটি ও ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নেমেছে পর্যটকের ঢল। পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেলের কোনো রুম খালি নেই বলে জানা গেছে। অনেক পর্যটক রুম না পেয়ে ব্যাগ-লাগেজ নিয়ে যত্রতত্র ঘুরছেন। আশানুরূপ পর্যটক আসায় এই মৌসুমে শতকোটি টাকার ব্যবসায়ের আশা করছেন হোটেল মালিকেরা।

তারা বলছেন, গত শুক্রবার থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউস-রিসোর্ট কোথাও কোনো রুম খালি নেই। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর ১০ শতাংশ রুম খালি থাকলেও এরপর থার্টি ফার্স্ট নাইট (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত শতভাগ রুম অগ্রিম বুকিং করা। আগামী ১০ দিনে সৈকতে অন্তত ১৫ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে মালিকেরা মনে করছেন।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন অন্তত দেড় লাখ পর্যটক! বেড়াতে আসা এসব পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সমুদ্র সৈকত, সেন্টমার্টিন, ইনানী পাথুরে বীচ ও মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরসহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

সংশ্লিষ্ট  সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার থেকে হোটেল–মোটেল ও কটেজের শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। ১৫, ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বরের জন্য তা শতভাগ অগ্রিম বুকিং হয়েছে। শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা বেড়াতে এসেছেন কক্সবাজারে। আগত পর্যটকদের বেশিভাগ কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়িয়েছেন। পরিবার–পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধবের সাথে বেড়াতে আসা পর্যটকরা সমুদ্র সৈকতে গোসল এবং ঘোড়া, বীচবাইক, জেটস্কি চড়ে আনন্দ আর হৈ-হুল্লোড় করছেন। পর্যটকের পদচারণায় পুরো সমুদ্র সৈকত কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে। পর্যটন জোন কলাতলীতেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। 

বেড়াতে আসা পর্যটক ফাহাদ বিন ফরিদ বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে কক্সবাজারে ভ্রমণে এসেছি। রুম বুকিং না দিয়ে এখানে এসে বিপদে পড়েছি।কোনো রুম পাচ্ছি না। কটেজে কিছু রুম খালি আছে এগুলো মানসম্মত নয় এবং দামও পাঁচ গুণ বেশি। তাছাড়া টমটম চালকদের ব্যবহার খুবই খারাপ ভাড়াও বেশি নিচ্ছে।

হোটেল-মোটেল গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, বহু চাহিদা থাকলেও সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে দৈনিক মাত্র দুই হাজার পর্যটক। একারণে আগ্রহ থাকলেও অনেক পর্যটক এবছর কক্সবাজারে আসছে না। তবে ভারতে বাংলাদেশীদের গমন বন্ধ থাকায় সেই শূন্যতা অনেকটা পূরণ হয়েছে। 

এদিকে বর্তমানে কক্সবাজার আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর নিরাপত্তা জোর রাখা হয়েছে। টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা ও থানা পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় রাখা হয়েছে সর্বত্র।

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের টহল আরও দুইগুণ বাড়ানো হয়েছে।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার মোঃ রহমত উল্লাহ বলেন, পুলিশ ও র‌্যাবসহ সব আইন–শৃঙ্খলাবাহিনী সমন্বিতভাবে পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে। সেই সাথে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও রাখা হয়েছে। 

কক্সবাজার পর্যটক সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসাইন বলেন, লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত কক্সবাজার। আগত পর্যটকদের সেবা দিতে আমরা প্রস্তুত। কোনো পর্যটক হয়রানি হলে অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক সময়ের আলোকে মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, আগত পর্যটকদের সকল ধরণের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠানে বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। 


সময়ের আলো/এএ/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close