ই-পেপার রবিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
রবিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

রবিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

‘বর্তমান বুদ্ধিজীবীদের ক্রয় করতে বেশি কষ্ট করতে হয় না’
প্রকাশ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:১৩ পিএম আপডেট: ১৪.১২.২০২৪ ৩:২৪ পিএম  (ভিজিট : ২৪৫)
বর্তমান বুদ্ধিজীবীদের অনেককেই ক্রয় করতে বেশি কষ্ট করতে হয় না। তাদের অনেকেই অল্পে তুষ্ট হয়ে ভিন্ন খাতে কলম চালান বলে মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, বর্তমান বুদ্ধিজীবীদের অনেককেই ক্রয় করতে বেশি কষ্ট করতে হয় না। কারণ তাদের অনেকেই অল্পে তুষ্ট হয়ে ভিন্ন খাতে কলম চালান। আখেরাতে তাদের এজন্য জবাবদিহি করতে হবে। ৫ই আগস্টের পরেও আমরা যদি ঐক্য সৃষ্টি করতে না পারি তাহলে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যে স্বপ্ন তা বাস্তবায়িত হবে না আর তা করতে না পারলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বৃথা।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর উন্নয়নের কথা বলে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। এমন একটা ভাব সৃষ্টি করা হয়েছে যেন আমরা উন্নয়নের জন্য দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা উন্নয়নের জন্য স্বাধীনতা যদি করতাম তাহলে দেশ স্বাধীন হতো না, কারণ আইয়ুব খান সেসময় উন্নয়নের দশক চালাচ্ছিল। আমরা স্বাধীনতা করেছিলাম গণতন্ত্রের জন্য, রাজনৈতিক অধিকারের জন্যে, বঞ্চনার জন্যে। এখন সে অধিকারগুলো আদায়ের আরেকটা সুযোগ এসেছে ৫ই আগস্টের মধ্য দিয়ে।

তিনি আরো বলেন, ছাত্ররা জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে অভূতপূর্ব সুযোগ এনে দিয়েছে তা কাজে লাগিয়ে পুনরায় ঐক্য সৃষ্টি করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ নিতে হবে তাহলেই কেবল শহীদদের যে মনোবাসনা সেটার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, বুদ্ধিজীবীরা ছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে একটি আন্তর্জাতিক মহল হত্যা করেছে। একক কোন গোষ্ঠী এখানে জড়িত ছিল না বরং আন্তর্জাতিক চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তারা।

তিনি আরো বলেন, ১৪ ডিসেম্বর কারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। সেই প্রশ্নের একমাত্র উত্তর হলো একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী এদেশের বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করেছে, যেন স্বাধীন দেশ হিসেবে আমরা মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারি, আজীবন পঙ্গু জাতি হিসেবে থাকি। যার উদাহরণ আমরা গত ১৫ বছরে দেখেছি।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা জানি সময়ের সেরা বুদ্ধিজীবী ছিলেন সক্রেটিস। তাকে গণতন্ত্রের কথা বলতে গিয়ে জীবন দিতে হয়েছিল। এটিই হচ্ছে শিক্ষাবিদদের ইতিহাস।

"গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে 'শহীদ বুদ্ধিজীবী' দিবসের তাৎপর্য" শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত থেকে আরো বক্তব্য রাখেন, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বিভাগের প্রধানদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, প্রভোস্টদের পক্ষে শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, ডিনবৃন্দের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমিন। তিনি তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ সময়কালীন সময়ের নিজের স্মৃতিচারণ করেন।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- ক্লাব ক্যাম্পাসের সাধারণ সম্পাদক, অফিসার সমিতির সভাপতি ও কর্মচারী সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক।

এর আগে, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত সংগঠন ও ক্লাবগুলো শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।


সময়ের আলো/এএ/




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close