প্রকাশ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:২০ এএম (ভিজিট : ১৭৪)
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করতে পারলেও ওয়ানডে সিরিজে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি টাইগাররা। তিনশর বেশি রান করেও হারতে হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দলকে।
২০১৪ সালে টাইগাররা সবশেষ হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ক্যারিবীয়দের কাছে। এরপর টানা চারটি সিরিজ জিতে বাংলাদেশ। দেশে, দেশের বাইরে সমান দাপট দেখায় টাইগাররা। কিন্তু এবার আর পারল না নিজেদের সিংহাসন ধরে রাখতে। এর মধ্য দিয়ে ওয়ানডে ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৩২১ রান করেও ৪ উইকেটে হেরেছে টাইগাররা। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ যথাক্রমে ৫ ও ৭ উইকেটে হেরেছিল তারা। শেষটায় চেষ্টা ছিল হার এড়ানোর। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চার ব্যাটারের হাফসেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২১ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
শুরুতে তানজিদ হাসান ও লিটন দাস বিদায় নেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর সৌম্য সরকার ৭৩, অধিনায়ক মিরাজ ৭৭, ইনফর্ম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত ৮৪ এবং জাকের আলী খেলেন অনবদ্য ৬২ রানের ইনিংস। তৃতীয় উইকেটে সৌম্য-মিরাজ ১২৭ বলে ১৩৬ এবং ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ-জাকের ১১৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৫০ রান যোগ করেন। যা ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রেকর্ড রান বাংলাদেশের।
সবমিলে ৩২২ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় রুখতে পারেনি টাইগার বোলাররা। এদিন নাহিদ রানা, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান খেলেননি। তাসকিন আহমেদের সঙ্গে পেস আক্রমণে ছিলেন হাসান মাহমুদ। তবে ক্যারিবীয় দলে অভিষিক্ত আমির জাঙ্গুর সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩২৫ রান করে ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জাঙ্গো ৮৩ বলে অপরাজিত ১০৪ রান করেন।
এমন হারের পর নিজেদের ভুলত্রুটি ধরতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন মিরাজ। আর কোথায় কোথায় উন্নতি করা প্রয়োজন সেটিও ভালোভাবে ধরতে পেরেছেন বলে জানান তিনি। এই সিরিজের পর আর কোনো ওয়ানডে নেই বাংলাদেশের। নামতে হবে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে। এ নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘এই সিরিজের পরই আমাদের সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আমরা জানি কোথায় আমাদের উন্নতি প্রয়োজন। আশা করি সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে আমরা বুঝতে পারব কীভাবে উন্নতি করতে হবে।’
এদিন ব্যাটাররা ভালো করলেও বোলাররা ছিলেন নির্বিষ। প্রথম ওয়ানডেতেও একই কারণে হেরেছিল বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচেই মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট না নিতে পারার কারণ বললেন তিনি, ‘আমাদের বোলারদের জন্য খুব কঠিন দিন ছিল। বোলিংয়ে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। মাঝের ওভারে উইকেট নিতে পারিনি, এটি আমাদের জন্য সমস্যার কারণ ছিল।’