প্রকাশ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:৫০ এএম (ভিজিট : ১৭৪)
ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এই দুই মহাতারকার অবসরের পর ফুটবল দুনিয়ার রাজা হওয়ার প্রশ্নে বিতর্কের শেষ নেই। এমন জল্পনা-কল্পনা যখন আলোচনার বিষয়বস্তু তখন বার্সেলোনার হয়ে মেসির বিকল্প ভূমিকায় স্প্যানিশ তরুণ লামিন ইয়ামাল বেশ সফল।
অভিষেকের পর শুরুর পথটা অনেকটা খুদে জাদুকরের ন্যায় করেছেন। তাতেই আর্জেন্টাইন অধিনায়কের সঙ্গে তুলনার পথ তৈরি হয়ে গেছে। পরিসংখ্যানের পাতায়ও ১৭ বছর বয়সি ইয়ামাল ছাড়িয়ে গেছেন মেসিকে। সমর্থকদের মধ্যমণিও বনে গেছেন। এবার সব স্বীকৃতিকে ছাড়িয়ে গেলেন। অভিষেকের পর রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দেওয়া এই তারকা পেয়েছেন মেসির ভূয়সী প্রশংসা। কৈশোরের বৃত্তে থাকা ইয়ামালকে শুধু বার্সেলোনারই নয় ফুটবলের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ তারকা হিসেবে পরিচয় করে দিয়েছেন। ইউরো জয়ী এই তারকার মাঝে নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন মিয়ামি তারকা।
ছোটবেলাতেই মেসির সান্নিধ্য পেয়েছিলেন ইয়ামাল। খুদে জাদুকর তাকে কোলে নিয়েছিলেন। সেই ইয়ামাল এখন বড় তারকা, বিশেষ করে বার্সেলোনার। যে ক্লাবে দুই দশক দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মেসি। জিতেছেন ৩৪টি শিরোপা। কাতালান সেই ক্লাবের জার্সিতেই এখন মাঠ কাঁপান ইয়ামাল।
সম্প্রতি জার্মানিতে বিশ্ববিখ্যাত কোম্পানি অ্যাডিডাসের এক অনুষ্ঠানে মেসির কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি কার মাঝে নিজের ছায়া দেখেন? জবাবে মেসি বলেন, ‘তরুণ ফুটবলারদের দারুণ একটি প্রজন্ম উঠে এসেছে, যাদের সামনে অনেক বছর পড়ে আছে। যদি কাউকে বেছে নিতে হয় সেটা তার বয়স ও ভবিষ্যতের কারণে, আমি শুনেছি অনেকেই লামিন ইয়ামালকে বেছে নিয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই আমিও তাই নেব, আমি একমত। তবে এটা তার ওপর এবং আরও অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। কারণ ফুটবল এমনই। কিন্তু সেই ফুটবলের বর্তমান এবং নিঃসন্দেহে তার সামনে দারুণ ভবিষ্যৎ।’
লা লিগার চলতি মৌসুমে বার্সেলোনা রয়েছে দারুণ ছন্দে। পয়েন্ট তালিকার চূড়াতেও তারা। এমন দাপুটে ফর্মের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ইয়ামাল। এখন পর্যন্ত ১৫টি ম্যাচ খেলে ৫টি গোল করার পাশাপাশি ১০টি গোলে সহায়তা করেছেন তিনি। এমন সাফল্যের কারণেই মেসির প্রশংসা পেয়েছেন। শুধু ইয়ামালই নয়, বার্সেলোনার প্রতিও নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন মেসিও, ‘আমি বার্সাকে লা লিগা, কোপা দেল রে, এমনকি চ্যাম্পিয়নস লিগও আবার জিততে দেখতে চাই। যে বছরগুলোতে সেটা করা সম্ভব হবে না তখন তারা যেন অন্তত লড়াইটুকু করে।’
সময়ের আলো/আরএস/