প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৪১ পিএম (ভিজিট : ২২৮)
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা সাকিব বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়মিত ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি–টোয়েন্টিও খেলছেন দীর্ঘদিন ধরে। কখনোই কোথাও তার বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। তবে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর সাকিব আল হাসানের শাস্তির কথা জানাল ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। বোলিং অ্যাকশন উতরানোর আগ পর্যন্ত তাদের কোনো টুর্নামেন্টে বোলিং করতে পারবেন না বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।
দীর্ঘ ১৩ বছর বিরতির পর গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ডিভিশন ওয়ান-এ একটি ম্যাচ খেলেন সাকিব। সমারসেটের মাঠ টন্টনে বল হাতে চমৎকার পারফরম্যান্স করেন তিনি। ২০১০-১১ মৌসুমের পর কাউন্টিতে ফেরার ম্যাচে বাঁহাতি স্পিনে ৯ উইকেট নেন সাকিব। যদিও ম্যাচটি ১১১ রানে হেরে যায় সারে। ম্যাচটিতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬৩ ওভার বোলিং করেন সাকিব। তার ওভারে চাকিংয়ের জন্য কোনো ‘নো বল’ ডাকেননি আম্পায়াররা।
তবে প্রায় দুই মাস পর জানা যায়, ওই সময়ে সাকিবের বোলিং অ্যাকশনে সন্দেহ প্রকাশ করেন সেই ম্যাচের দুই আম্পায়ার স্টিভ ও’শনেসি ও ডেভিড মিল্নস।
সন্দেহের অভিযোগে চলতি বছরের ২ ডিসেম্বর বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দেন সাকিব, যেখানে ৪ ওভার বোলিং করেন তিনি। নিয়মানুযায়ী বল ডেলিভারির সময় বোলারের কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকা হতে পারে না। সাকিবের কনুই অনুমোদিত সীমার চেয়ে বেশি বেঁকেছে বলেই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে। তবে তার কনুই কত ডিগ্রি বাঁকা হয়েছে, তা জানা যায়নি।
ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবরে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন সাকিব। গত ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষার ফল হাতে পেয়েছে ইসিবি। বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞাও সে দিন থেকেই কার্যকর হয়েছে।
ইসিবির নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে হলে সাকিবকে স্বতন্ত্র মূল্যায়ন কেন্দ্রে অ্যাকশন পরীক্ষা করাতে হবে। তবে ইংল্যান্ডের বাইরে বল করতে কোনো বাধা নেই।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্কারে সাকিব এখন পর্যন্ত ৪৪৭টি ম্যাচ, নিয়েছেন ৭১২ উইকেট। এদিকে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আর দেশে ফেরেননি সাকিব। এর মাঝে অবসর নাটকীয়তা হয়েছে তাকে ঘিরে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর খেলছেন তিনি।
সময়ের আলো/আরআই