প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৩৭ এএম (ভিজিট : ১১৬)
চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানেই বদলে গেলেন তামিম ইকবাল। এনসিএল টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী দিনে ১৩ বলে ১০ রান করে ফেরা তামিমকে নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে দিনভর। কিন্তু পরদিন দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই বদলে দেন হিসাব-নিকাশ। অর্ধশত রানের দারুণ একটা ইনিংস খেলে ঠিকঠাক ফেরার বার্তাটাই দিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ওপেনার।
সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাই করেন আত্মবিশ্বাসী এক শটে। তাতেই যেন বদলে যাওয়ার আভাস পেয়ে যান এই ওপেনার। দুর্দান্ত টাইমিং, কাভার ড্রাইভ সবই দেখা গেছে তার ব্যাটে। যেন পুরোনো ছন্দই ফিরে পেলেন।
সিলেট বিভাগের বিপক্ষে তামিম খেলেন ৩৩ বলে ৬৫ রানের ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা। এর মধ্য দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পঞ্চাশতম ফিফটি পেয়ে যান তিনি। এই টুর্নামেন্ট দিয়েই সাত মাস পর মাঠের ক্রিকেটে ফিরেছেন তামিম।
তামিম ইকবালের ইনিংস ছাপিয়েও চট্টগ্রাম-সিলেটের ম্যাচে বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন ওপেনার তৌফিক খান। তারপরও চট্টগ্রামকে হারাতে পারেনি সিলেট। তৌফিকের ৩৬ বলে ৬ ছক্কায় করা ৭৬ রানের ইনিংসের পরও ১২ রানে জিতেছে চট্টগ্রাম।
কুয়াশার কারণে ম্যাচের পরিধি নেমে আসে ১৫ ওভারে। চট্টগ্রামের দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্যে সিলেটের হয়ে লড়াই করেছেন শুধু তৌফিক। তার বিদায়ের পর ১৪.২ ওভারে ১৩৩ রানে থেমেছে সিলেট।
আরেক ভেন্যুতে খুলনার কাছে অবিশ্বাস্যভাবে ১ রানে হেরেছে বরিশাল বিভাগ। খুলনার দেওয়া ১৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রান তুলে ফেলে বরিশাল। শেষ ওভারে মেহেদী হাসান রানার প্রথম ৩ বলে ৬ রান তুলে ম্যাচটা আরও কাছে নিয়ে আসেন কামরুল ইসলাম ও মঈন খান। শেষ ৩ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৩ রান। কিন্তু সাধারণ এই সমীকরণই মেলাতে পারেনি বরিশাল। ৩ রান আউটে ম্যাচটা তারা হেরে যায় ১ রানে!
চতুর্থ ও পঞ্চম ডেলিভারিতে টানা রানআউটে ফেরেন কামরুল ইসলাম, মঈন খান। পরের বলে অবশ্য ওয়াইড দেন রানা। কিন্তু শেষ বলেও রানের তাড়ায় একই ভাগ্য বরণ করেন রুয়েল মিয়া। রানআউটে ফেরেন তিনি। তিনটি আউটেই দারুণ অবদান ছিল খুলনা অধিনায়ক ও উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের।
দুপুরে রংপুর-ঢাকার ম্যাচে সহজ জয় পায় রংপুর। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্দিষ্ট ওভারে ৫ উইকেটে ১৪০ রান করে রংপুর। শুরুর ব্যাটাররা ভালো করতে না পারলেও শেষ দিকে আরিফুল হকের ৩৯ বলে ৪৫ রানের ইনিংস আর আনামুল হকের ২৬ রানে ভর করে লড়াই করার পুঁজি পায়। জবাবে ব্যাট করতে নামলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের তোপের মুখে পরে ঢাকার ব্যাটাররা। শুরুতে মুকিদুল ইসলাম চেপে ধরেন। এতে ১১২ রানে গুটিয়ে যায়। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন আরাফাত সানি জুনিয়র। রংপুরের রিজওয়ান নেন ২১ রানে ৪ উইকেট। মুগ্ধ নেন দুটি উইকেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৮ রানে জয় পায় ঢাকা মেট্রো। ব্যাট করতে নেমে ঢাকা মেট্রো ১৯.৫ ওভারে অলআউট হলেও তাদের টপঅর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে ভর করে ১৬২ রানের সংগ্রহ পায়। অধিনায়ক নাঈম শেখ ২৩ বলে ৬টি চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রান করেন। গাজী মো. তাহজিবুল ইসলাম ১৮ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। বল হাতে রাজশাহীর হয়ে মোহর শেখ ৩.৫ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। নিহাদ উজ জামান ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহী। তারপরও তাদের লড়াইয়ে রাখেন ফরহাদ রেজা। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তিনি ৩৫ বলে ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস খেলে আশা জাগিয়ে রাখেন। তার বাইরে হাবিবুর রহমান ৫ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩৩ রান। এই দুজনের বাইরে আর কেউ উল্লেখযোগ্য রানের ইনিংস খেলতে না পারায় জয়ও পাওয়া হয়নি রাজশাহীর। তারা ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানে থামে।
সময়ের আলো/আরএস/