প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:২৬ পিএম (ভিজিট : ১৭৮)
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাবেক এই তিন মন্ত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এসব মামলা দায়ের করা হয়।
দুদক মহাপরিচালক জানান, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে ৬১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং তার ছেলে রাহাত মালেকের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার কমিশনের অনুমোদনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ছেলে রাহাত মালেক ছাড়াও প্রথম মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে জাহেদ মালেকের স্ত্রী শাবানা মালেক, পুত্রবধূ সাকিবা মালেক, মেয়ে সাদিয়া মালেক ও সিনথিয়া আকমলকে। স্ত্রী শাবানা মালেকের নামে তিন কোটি ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৮২৭ টাকা, পুত্রবধূ সাকিবা মালেকের নামে ৯ কোটি ২৮ লাখ ৯৪ হাজার ৫৪৫ টাকা, মেয়ে সাদিয়া মালেকের নামে এক কোটি ৮৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, সিনথিয়া আকমলের নামে দুই কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার ২৯৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাবেক বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের নামে-বেনামে এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ টাকা এবং তার মেয়ে মির্জা আফিয়া আজম অপির নামে তিন কোটি ৯৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যদিকে তার স্ত্রী দেওয়ান আলেয়ার নামে একাধিক ফ্ল্যাট ছাড়াও তার নিজের নামে ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানির নামে ৬০টি ব্যাংক হিসাবে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৭২৫ কোটি ৭০ লাখ ৪২ হাজার ২৩২ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
এছাড়া সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি ২৫টি ব্যাংক হিসাবে ৩২ কোটি চার লাখ ৯৫ হাজার ৩১৪ টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। অপরদিকে তার স্ত্রী আরিফা জেসমিনের নামে ৯ কোটি ৫৮ লাখ ৯৩ হাজার ৪৩৩ টাকা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ পাওয়া যায়। তার নামে ৩১টি ব্যাংক হিসাবে ২২ কোটি ৩৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৭৯ টাকা জমা এবং ১৭ কোটি ৫৬ লাখ ৮২ হাজার ৮৭৭ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
সময়ের আলো/জেডআই